Bratya-Sujan: ‘‌মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করব’‌, সুজনের স্ত্রীর চাকরি প্রসঙ্গে ব্রাত্য

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। তবে তিনি জানালেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল পর্যন্ত কেউ জানত না। এই চাকরি নিয়ে তদন্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট জমানার মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা বলেছেন, বেশিরভাগ পার্টির হোল টাইমারের বউকেই সরকারি স্কুলের চাকরি দেওয়া হতো। তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।

এদিন গোটা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌ওনার ইন্টারভিউ হয়েছিল কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তদন্ত হওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করব। উনি মমতা সরকারের কাছ থেকে পেনশন নিচ্ছেন। মানে সরকারি কর্মচারী। এতদিন আমরা কিছু করিনি। সব জেনেও বলিনি। কারণ, আমাদের স্লোগান বদলা নয়, বদল চাই।’‌ এরপর ক্যাগ রিপোর্ট দেখান শিক্ষামন্ত্রী। যেখানে ৪৬ হাজারের বেশি নিয়োগে গড়মিল, চিরকূট সব হয়েছে। আর বলেন, ‘‌ভদ্রতা মানেই কি দুর্বলতা?‌’‌

এদিকে আজ, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএমকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে এই সাংবাদিক বৈঠক করেছি। সিপিএম রাজনৈতিক দল নয়। একটা সভা। অ্যাটিটিউড, যার প্রধান লক্ষণ কাজ না করে বড় বড় কথা বলা। অন্যের কাজে খুঁত ধরা। এই কুৎসা করার ট্র্যাডিশনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও রয়েছেন এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একই কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৯ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশন হয়। কিন্তু বাম সরকার গ্রুপ–সি ও গ্রুপ–ডি’‌কে কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। আমরা আগেই বলেছিলাম এখন যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তার বীজ বাম আমলে পোঁতা হয়েছে। এখন তৃণমূল কংগ্রেস শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। সেই শ্বেতপত্র দেখে কেউ অভিযোগ করলে, তার তদন্ত হবে।’‌

অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে প্রচণ্ড রেগে যান। সরাসরি সুজন চক্রবর্তীকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, ‘‌কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না।’‌ সুজনের টুইট প্রসঙ্গ উঠতেই রেগে যান শিক্ষামন্ত্রী। তখন তিনি বলেন, ‘‌উনি কে হরিদাস পাল? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? পলিটব্যুরো সদস্য? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের তুলনা করছেন? দলে কী জায়গা রয়েছে ওঁর? সকাল থেকে বাইট দেওয়ার জন্য বসে থাকেন। যা হয়েছে, তা কাল পার্থ ভৌমিক বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন। বাকিটা শ্বেতপত্রে প্রকাশ করা হবে।’‌ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার টুইট করা হয় যে, ‘‌প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোনও পরীক্ষায় পাশ করেননি। কিন্ত ৩৪ বছর চাকরি করেছেন দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। যখন অবসর নেন, তখন বেসিক পে ছিল ৫৫ হাজার টাকা। এখন রাজ্য সরকারের পেনশনও নেন তিনি।’‌