Cancer research: মহাকাশে হবে ক্যানসারের গবেষণা, কীসের খোঁজে এমন পদক্ষেপ বিজ্ঞানীদের

মাইক্রোগ্ৰ্যাভিটিতে কীভাবে ডিফিউজ মিডলাইন গ্লিওমা ছড়িয়ে পড়ে তা এখন স্পষ্ট করে জানা নেই বিজ্ঞানীদের। বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতেই এবার রোগের নমুনা পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চের তরফে এই নমুনা পাঠানো হচ্ছে। ডিফিউজ মিডলাইন গ্লিওমা একটি মস্তিষ্কের একটি টিউমার যা শিশুদের প্রায়ই হয়। রোগ ধরার পরার ১৮ মাসের মধ্যে রোগী মারা যান।

আরও পড়ুন: বোতল বোতল জল খেলেও ১৪ মাস প্রস্রাব হত না! কী এই রোগ? কারা আক্রান্ত হতে পারেন

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পানীয় জল ‘সুরক্ষিত’ নয় একদম, জল দিবসের পরেই কেন এ কথা রাষ্ট্রসংঘের

এই ক্যানসার মস্তিষ্কের একটি সংবেদনশীল এলাকায় হয়। তাই সার্জারি করেও রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। এমনকী কেমোথেরাপি করলেও খুব সামান্য উপকার হয় রোগীর। মূলত রেডিয়োথেরাপিই করা সম্ভব হয়। তবে রেডিয়োথেরাপিও রোগটিকে প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। ১৯৬৯ প্রথম চাঁদে পাড়ি দেওয়া ব্যক্তি নীল আমস্ট্রংয়ের মেয়ে কারেন আমস্ট্রং এই রোগের শিকার হন।

আরও পড়ুন: ২০২৫-এর পর দেশে আর টিবি রোগী থাকবে না! সুস্থ ভবিষ্যতের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: টিবির জীবাণু শরীরেই রয়েছে, অথচ টের পাচ্ছেন না! কী কারণে এমনটা হয় জানেন

ডি(এমজি)২ গবেষণার প্রদান তদন্তকারী ক্রিস জোন্স লন্ডনের ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চে শিশুদের ক্যানসার বায়োলজির একজন প্রশিক্ষক। তিনি বলেন,‘১৯৬০এর দশকে নীল আমস্ট্রংয়ের মেয়ের মৃত্যুর পরেও রোগীদের বেঁচে থাকার হারে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু গত ১৫ বছরে এই টিউমারগুলি নিয়ে বিজ্ঞানের ধারণা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এমনকী এখন নতুন থেরাপিও আবিষ্কৃত হয়েছে। যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে।’

তবে এই রোগের নমুনা মহাকাশে পাঠানোর কারণ কী? বিজ্ঞানীদের কথায়, ক্যানসারের কোষগুলি ত্রিমাত্রিক স্পেসে কীভাবে কাজ করে তা দেখার জন্যই এই পথ বেছে নেওয়া। মহাকাশে কীভাবে এই রোগের নমুনা কোষগুলি নিজেদের মধ্যে বিক্রিয়া করে, তা বুঝলে অনেকটাই সহজ হবে গবেষণা। টিউমার বন্ধ করার জন্য নতুন পথের খোঁজ চলছে। যে পথের খোঁজ পেলেই ল্যাবে নতুন করে গবেষণা শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাকাশে এই ত্রিমাত্রিক স্পেস পৃথিবীর থেকে অনেকটাই বড় হবে। এতেই গবেষণার সুবিধা হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup