Congress on RaGa’s Disqualification: ‘ভারতীয় গণতন্ত্র ওম শান্তি’, রাহুল গান্ধী সাংসদপদ হারাতেই রণহুঙ্কার কংগ্রেসের

আইন মেনে সাংসদর পদ খুঁইয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর এই আবহে এবার বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। আজ লোকসভার সচিবালয়ের তরফে রাহুলের সাংসদপদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই জয়রাম রমেশ সেই বিজ্ঞপ্তিটি টুইট করেন। ক্যাপশনে কংগ্রেস নেতা লেখেন, ‘আমরা আইনি ভাবে এবং রাজনৈতিক ভাবে এর বিরোধিতা করব। আমরা ভয় পাব না। চুপ থাকব না। আদানির মহা কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন না করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হল। ভারতীয় গণতন্ত্র ওম শান্তি।’ উল্লেখ্য, গতকালই গুজরাটের আদালত রাহুল গান্ধী দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। এরপরই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ নিয়ে জল্পনা চলছিল। এরপরই আজ লোকসভার সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কংগ্রেস নেতার সাংসদপদ খারিজের কথা জানানো হয়। (আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের জেরে হাজার হাজার কোটি টাকা হারালেন ডরসি, অঙ্ক শুনলে ঘুরবে মাথা)

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজের দাবি তুলে এসেছিল বিজেপি। সংসদে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং গৌতম আদানির ছবি দেখানোর বিরোধিতায় রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়েছিল। এদিকে লন্ডনে ভারতের গণতন্ত্র এবং সংসদীয় কার্যক্রম নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্যও রাহুলের সাংসদপদ খারিজের দাবি তোলা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে সেই সব কারণে নয়, রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ হল ২০১৯ সালের এক জনসভায় মোদীকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে।

আরও পড়ুন: এপ্রিলে বাংলায় চালু হবে আরও এক বন্দে ভারত! হাওড়া-শিয়ালদা নয়, ছাড়বে এখান থেকে…

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, নীরব মোদী, ললিত মোদীকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদী’ পদবীর সকলের অপমান হয়েছে বলে অবিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলারই রায়দান করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাহুল গান্ধী দোষী। এদিকে আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজায় দণ্ডির হন, তবে তৎক্ষণাত তাঁর পদ খারিজ হবে। এই আবহে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয় আজ। এদিকে রাহুল দায়রা আদালতের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরাসরি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না, কারণ এটা ফৌজদারী মামলা ছিল। তবে বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস গুজরাট হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।