Kumaraswamy meets Mamata in Kalighat: কুমারস্বামীর কালীঘাট সফর ঘিরে জল্পনা, কতটা বাস্তব মমতার তৃতীয় ফ্রন্টের ‘স্বপ্ন’?

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গেলেন জেডিএস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর কালীঘাটে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি বহু নেতার সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছেন মমতা। ওড়িশা গিয়ে পুরীতে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ‘বিজেপি ঘেঁষা’ নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও দেখা করেছেন মমতা। এর আগে সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদবও মমতার সঙ্গে এসে দেখা করে গিয়েছেন কালীঘাটে। আর এবার কর্ণাটকের প্রভাবশালী নেতা কুমারস্বামী নিজে মমতার দরবারে। (আরও পড়ুন: নববর্ষে দ্বিতীয় বন্দে ভারত পাবে বাংলা, রেলমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আবেদন BJP সাংসদের)

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামী। কংগ্রেসের সঙ্গে সেই জোটে কুমারস্বামীর জেডিএস ছিল ‘জুনিয়র পার্টনার’। তবে বিজেপিকে ঠেকাতে ‘আত্মত্যাগ’ করতে রাজি হয়েছিল কংগ্রেস। তবে পরবর্তীকালে কংগ্রেস এবং জেডিএস ভাঙিয়ে কুমারস্বামীর সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। তবে ২০২৩ সালে ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ‘ইচ্ছে’র কথা কুমারস্বামীকে জানিয়েছেন মমতা। তবে কুমারস্বামী একা কর্ণাটকে ক্ষমতা দখল করতে পারেলই মনে হয় বেশি খুশি হবেন মমতা। কারণ তাতে তাঁর অবিজেপি, অকংগ্রেসি জোটের ভিত আরও মজবুত হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে ডিএ আন্দোলনকারীদের দমাতে এ কী করছে সরকার! হতবাক সব মহল

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল কর্ণাটকে। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমারের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। এই আবহে কর্ণাটকে খুব একটা স্বস্তিতে নেই হাত শিবির। তবে সমস্যা হল, বিগত কয়েক বছরে জেডিএস শুধুমাত্র দক্ষিণ কর্ণাটকেই নিজেদের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারা কংগ্রেসের সাহায্য ছাড়া সরকার গড়ার অবস্থায় আসতে পারবে বলে মনে করছেন না অধিকাংশ রাজনৈতির বিশ্লেষক। আর এই আবহে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তৃতীয় ফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এই আবহে বিরোধী রাজনৈতিক পরিসরে এই সাক্ষাৎ আগামী দিনে কতটা প্রভাব ফেলে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।

এদিকে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হওয়ায় আপাতত তৃতীয় ফ্রন্টের সমীকর্ণ তছনছ হয়েছে বলে মত বহু রাজনৈতির বিশ্লেষকের। বিরোধিতা ভুলে গতকাল মমতা নিজেও রাহুল গান্ধীর সমর্থনে টুইট করেছন। এদিকে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর বিরোধী ঐক্য নতুন করে গড়ে উঠছে। কংগ্রেস বিরোধিতায় সরব থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতাও রাহুলের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আর এই সুযোগে কংগ্রেসও বিরোধীদের উদ্দেশে ‘বার্তা’ দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে। এই আবহে মমতার তৃতীয় ফ্রন্ট, কতটা বাস্তব, তা আপাতত অজানাই থাকবে।