Debangshu Bhattacharya: বাম জমানায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কারা?‌ দেবাংশুর ফেসবুক পোস্টে আলোড়ন তুঙ্গে‌

সিপিএমের আমলে চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ইমেল অ্যাড্রেস চালু করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ইমেল অ্যাড্রেস সর্বসমক্ষে আনা হয়েছে। বামফ্রন্ট আমলে যোগ্য হয়েও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কারা? তার তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ইমেল আইডি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান ও দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তা নিয়ে রবিবাসরীয় দুপুরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে সাধারণ মানুষের কাছে দেবাংশুর আবেদন, ‘‌নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর এবং পরীক্ষার ভ্যালিড ডকুমেন্ট সহ এখানে মেল করুন। আপনি না চাইলে আপনার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হবে না।’‌ তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল ‘চিরকুট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে নয়া প্রচারে নেমেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগেই অভিযোগ করা হয়েছে, বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি হয়েছে বহু সিপিএম নেতার পরিবারের সদস্যদের। এই ধরপাকড় শুরু হতেই আলিমুদ্দিনের খুঁটি টলে গিয়েছে। দুঁদে বাম নেতা বিমান বসুকে বলতে হয়েছে, বাম জমানায় দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্ত হোক। আসুক ইডি–সিবিআই।


অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর নাম তুলে ধরা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আর দলের আইটি সেলের পক্ষ থেকে ইমেল আইডি [email protected] প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সিপিএমের দখলদারির রাজত্বে যাঁরা যোগ্য হয়েও সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কমরেডদের আত্মীয়স্বজনের জন্য, তাঁরা নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর ও পরীক্ষার প্রামাণ্য তথ্য–সহ এই আইডিতে ইমেল করুন। আপনার নথি বৈধ হলে আমাদের পক্ষ থেকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা শোনা হবে।

ঠিক কী লিখেছেন দেবাংশু?‌ ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু উল্লেখ করেছেন, ‘‌২০০৭–২০১০ পর্যন্ত চাকরির পরীক্ষার নম্বর বিকৃত হয়েছে বলে যাঁরা মনে করেন, তাঁদের নিজেদের নাম, জেলা, ফোন নম্বর ও পরীক্ষার বৈধ নথি এই ইমেল আইডিতে পাঠাতে পারেন। অভিযোগকারী চাইলে তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে। সিপিএম পার্টির নিয়ম হল, কমরেডদের তাদের মাস মাহিনার একটা অংশ প্রতিমাসে পার্টিকে ‘‌লেভি’‌ হিসেবে দিতে হয়। অর্থাৎ একজন যদি তিরিশ হাজার টাকা মাহিনার চাকরি পান, তার ১০% হিসেবে ৩ হাজার টাকা তাদের পার্টিকে দিতে হবে প্রতি মাসে। এবার আপনিই বুঝে নিন.. প্রথমে স্বজনপোষণ করে নিজেদের লোকেদের চাকরিতে ঢোকানো, তারপর সেই চাকরির মাইনে থেকে একটা অংশের টাকা পার্টি ফান্ডের জন্য প্রতি মাসে রেকারিং সিস্টেমে ফিক্সড করে নেওয়া।’‌