Droupadi Murmu: কলকাতায় এসে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফরে সংবর্ধনা

কলকাতায় এসে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনের সফরে এসেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর কলকাতায় আসা। আজ, সোমবার এবং আগামীকাল, মঙ্গলবার এই দু’দিন কলকাতা, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা থাকছেন।

এদিন বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বরণ করা হয়। এখান থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসে নাগরিক সংবর্ধনা নেওয়া এবং তারপর নেতাজি ভবনে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও যাওয়ার কথা তাঁর। রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে সপ্তাহের প্রথম দু’দিন কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাঁর সফর নিয়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তার আয়োজন করেছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। তাঁর নিরাপত্তায় কলকাতার বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকছে তিন হাজার পুলিশকর্মী এবং অফিসার। নিরাপত্তার কারণে যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় কড়া নিয়মবিধি কার্যকর হয়েছে।

এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তাঁর সম্মানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির সফরকে কেন্দ্র করে কলকাতায় এখন সাজ সাজ রব। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। রাজভবনে ফিরে মধ্যাহ্নভোজন শেষে তিনি দেখা করবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বিকেলে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার–সহ রাজ্যের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মিলিত হবেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। রাষ্ট্রপতির জন্য সেখানে আয়োজন করা হয়েছে নাগরিক সংবর্ধনার। রাতে অংশ নেবেন তাঁর সম্মানে রাজ্যপাল আয়োজিত ভোজসভায়। মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতির যাবেন বেলুড় মঠ। তারপর কর্মসূচি রয়েছে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে। ইউকো ব্যাঙ্কের ৮০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি।

অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে সেনার হেলিকপ্টারে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পৌঁছবেন তিনি। ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্রভবন, কলাভবন এবং কবিগুরুর আশ্রম। তাঁর সামনে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চস্থ করবেন নাটক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সূচনাও করবেন তিনি। বিকেলে আসবেন কলকাতা বিমানবন্দরে। দু’দিনের বাংলা সফরশেষে তাঁকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। চার মাস আগে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। আর আজ এই পরিস্থিতিতে অখিল গিরি অতীত ভুলে সম্পূর্ণ উলটো কথা বলছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‌রাজ্য সরকারের তরফে ওঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আমি খুব খুশি। আমরা ওঁর জন্য গর্বিত।’‌