Ketugram: বিজেপি কর্মী খুনে সাক্ষীদের হুমকি, কেতুগ্রাম কাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় খুন হয় কেতুগ্রামের বিজেপি কর্মী। আর এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এবার যেসব পরিবার এই খুনের সাক্ষী দিয়েছে তাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। নিহত বিজেপি কর্মীর মা–সহ যাঁরা এই ঘটনায় সিবিআইকে সাক্ষী দিয়েছিলেন তাঁদেরকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত, অসহায় পরিবার সাহায্যের জন্য পুলিশের কাছে ছুটে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। বিজেপি বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবে বলে হুঁশিয়ারে দেয়। আর তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশের নির্বাচনের পর ২০২১ সালের ৪ মে কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মী বলরাম মাজি। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দিকে। কেতুগ্রাম থানাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য–সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনাটিরও তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু ইদানিং সাক্ষী যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের?‌ নিহত বিজেপি কর্মী বলরাম মাজির পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাঁদের এসে হুমকি দিচ্ছে। সিবিআইকে কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না বলছে। আর তা যদি না করা হয় তাহলে তাঁদের খুন করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই খুনের ঘটনায় যাতে কেউ সাক্ষী না দেয় তাই গ্রামের রাস্তায় পরিবার এবং সাক্ষীদের ধর্ষণ, খুনের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। কখনও তাঁদের পাঠানো লোকজন এসে হুমকি দিচ্ছে। মৃত বলরাম মাজির মা টুম্পা মাজি কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঠিক কে, কী বলছেন?‌ এই ঘটনা চাউর হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌তৃণমূল সিবিআই তদন্তকে ভয় পেয়ে হুমকি দিচ্ছে। কেতুগ্রাম থানা যদি ওই পরিবার ও সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে না পারে তাহলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করব।’‌ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‌এসব সাজানো ঘটনা। বিজেপি এভাবে বেঁচে থাকতে চাইছে।’‌ বিজেপির কর্মী খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শাহিদুল আলম মোল্লা বলেন, ‘‌জামিনের পর থেকেই আমি গ্রামের বাইরে আছি। বিজেপির এসব চক্রান্ত।’‌