Oseltamavir drug supply: এপ্রিল থেকে ওসেল্টামিভির ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে কলকাতায়

রাজ্যে বাড়ছে শ্বাসনালীর সংক্রমণ। শিশুরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। এই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে ওসেল্টামিভির নামের সেই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। সাধারণত অন্যান্য সময়ে এই ওষুধের চাহিদা বিশেষ থাকে না। তবে বর্তমানে সংক্রমণ বাড়ায় ওষুধের চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। বড়দের জন্য ট্যাবলেট-ক্যাপসুল পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই, ওসেল্টামিভির সিরাপ বাজার থেকে প্রায় উধাও। ইতিমধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে কলকাতায় এই ওষুধ সরবরাহের জন্য আবেদন জানিয়েছে ওষুধ বিক্রেতাদের বিভিন্ন সংগঠন। তবে মনে করা হচ্ছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের আগে শহরের বাজারে ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওসেল্টামিভির সহ কয়েকটি ওষুধের উপর নজর রাখছে। মন্ত্রক ওষুধ সংস্থাকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেছে। অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিংগাল বলেছেন, ‘আমাদের কাছে ওষুধের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক থেকে ফোন এসেছিল। আমরা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শীঘ্রই সারা দেশে এই ওষুধ সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে।’ বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অরুণ মালাস বলেন, ‘মূলত গত কয়েক বছরে ওসেল্টামিভির খুব কম চাহিদা ছিল। সেই কারণে অনেক ওষুধ বিক্রেতা এই ওষুধ বিক্রিই করতেন না। তবে বর্তমানে হঠাৎ করে চাহিদা বেড়েছে। সল্টলেকে আমার দোকানের কাছাকাছি অন্তত চারটি হাসপাতাল আছে। এখন এই ওষুধের চাহিদা বাড়ায় আমি প্রতিদিন ওসেল্টামিভির জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছি।’

মেট্রো ফার্মার সোমনাথ ঘোষ জানান, শহরের বাজারে ওসেল্টামিভির সরবরাহ এখন নেই বললেই চলে। কারণ বিপুল চাহিদার কারণে এই ওষুধের স্টক একদিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। ২ দিন আগে আমাদের কাছে ৬০০ ইউনিট ছিল এবং পরের দিন তা বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’ চিকিৎসকরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বা তার সাবটাইপ কোনও জীবাণুর (এইচ১এন১ কিংবা এইচ৩এন২) সংক্রমণে ওসেল্টামিভিরই একমাত্র ওষুধ। শিশুরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাঁরা এই ওষুধ খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই ওসেল্টামিভির চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup