গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার নাগরিকের মুক্তি চায় জাপান

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে বন্দি নাগরিকের মুক্তি চেয়েছে জাপান। চলতি মাসের শুরুতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে চীনের পুলিশ। জানা গেছে, ৫০-এর দশকে ড্রাগ প্রস্তুতকারক অ্যাস্টেলাসের কর্মচারী ছিলেন তিনি।

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো সোমবার জানান, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে চীন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় বা তার অপরাধ সম্পর্কে কোনও বিবরণ প্রকাশ করেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এর কিছু সময় পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী মামলা পরিচালনা করবে চীন। সে অনুযায়ী ব্যক্তির অধিকারও রক্ষা করা হবে।

কিয়োডো নিউজ অনুসারে, ২০১৫ সাল থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীন অন্তত ১৭ জাপানি নাগরিককে আটক করেছে। ২০১৯ সালে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে একজন জাপানি অধ্যাপককে আটক করেছিল চীন যিনি আধুনিক চীনা ইতিহাসে বিশেষজ্ঞ। দুই মাস পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-জাপান সম্পর্কের কোনও উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশ চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো টোকিওতে একটি নিরাপত্তা সংলাপে অংশ নেয়। বিতর্কিত পূর্ব চীন সাগরের দ্বীপপুঞ্জ, যুদ্ধকালীন ইতিহাস এবং তাইওয়ান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে টোকিও- বেইজিংয়ের মধ্যে।