Howrah Minor Body: হাওড়ায় দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার, তিলজলা কাণ্ডের পর আবার রহস্যমৃত্যু

গঙ্গায় ভেসে উঠল দুই নাবালকের দেহ। তবে এই দুই নাবালকের মৃত্যু কেমন করে হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। কেমন করে ওই দুই নাবালকের দেহ এখানে এল?‌ রহস্যমৃত্যু নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে দুই মৃত নাবালকের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে আজ, মঙ্গলবার হাওড়া জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তিলজলা কাণ্ডের মতো এটাও হত্যাকাণ্ড কিনা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

জলে ডুবে মৃত্যু হলে চোখের কোণায় কেন ক্ষত? পরিবার এটাকে খুনের অভিযোগ বলে দাবি করেছে। সাঁকরাইলের দুই নাবালকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ভাবাচ্ছে পুলিশকে। উদ্ধার হওয়া দুই নাবালকেরই বয়স ১০ বছর। তারা হাওড়ার সাঁকরাইলের বাদামতলা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাতে সাঁকরাইলের পাঁচপাড়া গঙ্গার ঘাট থেকে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত এক কিশোরের বাবা–মায়ের অভিযোগ, পুরনো শত্রুতার বদলা নিতে তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দু’জনের ছবি পাঠানো হয় বিভিন্ন থানায়।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বেশি রাতে সাঁকরাইলের পাঁচপাড়া গঙ্গার ঘাট থেকে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম মহম্মদ লাভিস এবং মহম্মদ আসিফ। একজনের পরনে ছিলো কালো রঙের হাফ প্যান্ট। অন্যজনের সাদা রঙের। গায়ে কিছুই ছিল না। ওই দুই নাবালক বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়েছিল। বিকেলে খেলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবে এটাই স্বাভাবিক পরিবারের কাছে। রাতে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করেন। মাঝরাতে হাওড়ার পাঁচপাড়া গঙ্গার ঘাটের কাছে দেহ দু’টি গঙ্গার তীরে বালির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা খবর দিলে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে ডুবে মারা গিয়েছে নাকি খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে নদীতে তা তদন্ত করে দেখছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, এক নাবালকের চোখে কোণায় ক্ষতচিহ্নও দেখা গিয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত মহম্মদ লাভিস খানের মা রালি খাতুন বলেন, ‘‌আমি আগে যে জায়গায় ভাড়া থাকতাম সেখান এক ভাড়াটের ছেলে আমার ১৬ বছরের মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছিল। প্রতিবাদে আমি পুলিশের কাছে অপহরণের মামলা করেছিলাম। সেই মামলা এখনও চলছে। তাই আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে আমার ও বোনের ছেলেকে ওঁদের পরিবার পরিকল্পনা করে খুন করেছে। ওরা ডুবে মারা যায়নি।’‌