‌Tiger Skin: রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মেরে বহুমূল্য চামড়া পাচারের ছক, বানচাল করল শুল্ক দফতর

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মেরে সেই চামড়া বাংলাদেশে পাচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের ছক কষেছিল কয়েকজন। সেই বাঘের চামড়া–সহ নখ, দাঁতও উদ্ধার করা হয়েছে। আনুমানিক প্রায় ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার বাঘের ছাল–সহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুটি কালো সিংও উদ্ধার করল শুল্ক দফতর। ব্যাগের মধ্যে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছাল দেখে চোখ কপালে উঠল শুল্ক কর্তাদের। নদিয়ার চাপড়া এলাকার ভাটগাছি গ্রাম থেকে বাঘের চামড়া উদ্ধার হলেও এই ঘটনায় পলাতক দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজ চলছে বলে খবর।

উদ্ধার হওয়া চামড়া কি বেআইনিভাবে শিকার করা বাঘের? কোন প্রজাতির বাঘ? কোথায় তাকে মারা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, নদিয়ার এই গ্রাম থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বাঘের চামড়া পাচার হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে সোমবার বেশি রাতে শুল্ক দফতরের দুই আধিকারিক—সমীর শংকর এবং সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বে অভিযান চলে। তখন উদ্ধার হয় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের চামড়া। অফিসাররা যেতেই একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেই ব্যাগ থেকেই উদ্ধার হয়েছে বাঘের চামড়া।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ শুল্ক আধিকারিকরা ইন্দো–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এক ব্যক্তিকে একটি ভারী ব্যাগ নিয়ে আসতে দেখেন। সীমান্তের দিক থেকে গ্রামে ঢুকতে দেখা যায়। হাতে বিশাল ব্যাগ। শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ হয় এবং এগিয়ে যায়। তখন ওই দুষ্কৃতী ব্যাগ ফেলে ঝোপে চম্পট দেয়। আর ব্যাগ খুলতে প্রায় এক কোটি ২৬ লক্ষ টাকার রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছাল হাতে আসে। ওই চামড়াটি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে বলে খবর। আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ পাচার চক্রের কাজ কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছাল, দাঁত, নখ এবং হরিণের দুটি সিং উদ্ধার করে শুল্ক দফতর।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ কাস্টমস সূত্রে খবর, এই ছাল ও সিং কোথা থেকে পেল দুষ্কৃতীরা সেটা খোঁজ করা হচ্ছে। কোথায় পাচারের উদ্দেশ্য ছিল? তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। কোটি টাকা মূল্যবান বাঘের ছাল নিয়ে যাওয়া বেশ ভাবিয়ে তুলেছে অফিসারদের। গোয়েন্দারা মনে করছে, এই ঘটনার পিছনে বড় চক্র রয়েছে। এই চক্র কতদিন ধরে এমন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছাল বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে সেটা জানার চেষ্টা করছে শুল্ক দফতর।