নেপালে আর একা-একা ট্রেকিং করতে যাওয়া যাবে না, পয়লা এপ্রিল থেকে চালু নিয়ম

নেপালে বিদেশিদের সোলো ট্রেকিং বন্ধ করছে সেখানকার সরকার। সোলো ট্রেকিংয়ের অর্থ হল, সম্পূর্ণ একা-একা ট্রেকিংয়ে যাওয়া। বর্তমানে অনেকেই ব্যাকপ্যাক কাঁধে একাই ট্রেকিং করতে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু একেবারে অচেনা, দূর্গম স্থানে এভাবে ঘোরাফেরা করা, পাহাড়ে চড়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে বিপদ। এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছেও। এরপর থেকেই বিদেশিদের সোলো ট্রেকিংয়ে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেপাল সরকার।

আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে এই নিয়ম বলবত্ হবে। তাহলে একা নেপাল বেড়াতে গেলে কি ট্রেকিং করা যাবে না? সেরকম কিন্তু নয়। যেতেই পারেন। তবে সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইড ভাড়া করতে হবে। সম্পূর্ণ একা-একা, কাউকে ছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ানো যাবে না। আরও পড়ুন: WagonR-এর দাম সাড়ে ৮ লাখ! প্রতিবেশী দেশে গাড়ির দাম শুনলে চমকে যাবেন

নেপালের সমস্ত ন্যাশানাল পার্কের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। উদাহরণস্বরূপ, সেখানকার অন্নপূর্ণা পর্বতমালা এলাকা ট্রেকিংয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এই সকল স্থানে আবশ্যিকভাবে লাইসেন্সড গাইড সঙ্গী নিয়ে যেতে হবে। তবে স্থানীয়দের ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়ম নেই। তাঁরা সেখানকার দূর্গম পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত। রুটগুলিও তাঁদের চেনা। তাই তাঁদের বিপদ ঘটা বা পথ হারানোর সম্ভাবনা কম।

এর পাশাপাশি এই নিয়মের আরও একটি বড় দিক রয়েছে। এর মাধ্যমে দূর্গম এলাকায় গাইড হিসাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। নেপালের ট্যুরিজম বোর্ডের কর্তা মণি আর লামিছনে এমনটাই জানালেন।

তিনি আরও বলেন, ‘একা একা ট্রেকিং করলে বিপদে পড়লে, আপনাকে সাহায্য করার জন্য কাউকে পাবেন না। শহর এলাকায় একা ঘুরুন, সমস্যা নেই। কিন্তু জনমানবহীন দূর্গম এলাকায় ঘোরা বিপদজনক।’

নেপালের বেশিরভাগ হাইকিং ট্রেইলই পাণ্ডববর্জিত। জনসংখ্যা এবং পরিকাঠামো নেই। সেলুলার সংযোগও মেলে না। উপরন্তু, নেপালের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়। প্রতি বছর, নেপালের পাহাড়ে তুষারপাত, তুষারঝড় এবং অতি-উচ্চতায় অসুস্থতার মতো মারাত্মক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। একাকী হাইকাররা নিখোঁজ হয়ে গেলে তাঁদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার মিশন চালানোও অত্যন্ত কঠিন।

নেপালের ট্রেকিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নীলহারি বাস্তোলা জানান, প্রতি বছর নেপালে ১০ থেকে ১৫ জন হাইকার নিখোঁজ হয়ে যান। এঁদের বেশিরভাগই একা-একা ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই এই নিয়মকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁরা।

একাকী ট্রেকিংয়ের বিপদের পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ট্যুর গাইড এবং কোম্পানিগুলিও বর্তমানে অন্যতম বড় সমস্যা। পর্যটন বোর্ডের পরিচালক জানালেন, লাইসেন্সবিহীন গাইডরা সরকারি রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই কাজ করেন। করও প্রদান করেন না। এর ফলে সঠিক, অভিজ্ঞ গাইডরা বঞ্চিত হন। ফলে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইডই ভাড়া করার নিয়ম চালু করা হল।

আরও পড়ুন: পয়লা এপ্রিল থেকে শিলিগুড়িতে ফের G20-র বৈঠক, প্রতিনিধিরা চড়বেন টয় ট্রেনে

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup