Couple jailed in Karnataka: বাংলাদেশি সন্দেহে কর্ণাটকের জেলে বন্দি ছেলে-বউমা, ফেরাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

কর্ণাটকে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে সেখানকার জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দম্পতি। তাদের ঘরে ফেরাতে কর্ণাটকে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ বাবা পঙ্কজ অধিকারী। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে আইনি লড়াই করার পরেও ছেলে বউমাকে ঘরে ফেরাতে পারেননি। আইনি লড়াই লড়তে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। মানসিক চাপ সইতে না পেরে বেঙ্গালুরুতেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। মঙ্গলবার তাঁর দেহ জামালপুরের বাড়িতে ফেরে। সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন দুই মেয়ে সাথী এবং শম্পা।

ওই দম্পতির নাম হল পলাশ অধিকারী এবং তার স্ত্রী শুক্লা অধিকারী। তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের বাসিন্দা। রোজগারের আশায় শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা গত জুন মাসে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। সেখানে মারাথাহাল্লি মহকুমার ভারথুর থানার সুলিবেলা গ্রামে একটি বাড়িতে ওঠেন। এরপরে সেখানে তারা কাজ শুরু করেন। তাঁদের কাজ ছিল মূলত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল প্রভৃতি জায়গা থেকে প্লাস্টিক, বোতল প্রভৃতি সরঞ্জাম সংগ্রহ করে বাছাই করা। এর জন্য তাদের দৈনিক ৩০০ টাকার মজুরি দেওয়া হত। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ভারথুর থানার পুলিশ গত ২৭ জুলাই সস্ত্রীক পলাশকে গ্রেফতার করে। বাংলাভাষী হওয়ায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা নিজেদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড এমনকী ভোটার কার্ডও পুলিশকে দেখায়। কিন্তু তারপরেও পুলিশ তাদের ছাড়েনি। পলাশের সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধ বাবা পঙ্কজ অধিকারী এবং প্রতিবেশী সুশীল অধিকারী। পঙ্কজ এবং সুশীলকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দম্পতি এবং শিশুপুত্রকে আটকে রাখে পুলিশ। এর পরে ছেলে–বউমা নাতিকে ফেরাতে লড়াই শুরু করেন বৃদ্ধ।

ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও কেন পলাশ এবং তার স্ত্রী-পুত্রকে কেন বন্দি রাখা হয়েছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভারথুর থানার পুলিশ জামালপুরে এসে পলাশদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে গিয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর বসুন্ধরা জানিয়েছেন, ‘তিনজন পুলিশ অফিসার আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই দম্পতি ভারতীয় নাগরিক কিনা। আমরা সেই সংক্রান্ত তথ্য থানার মেইল আইডিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের ভোটার তালিকার তথ্যও পাঠিয়ে দিয়েছি। এর পাশাপাশি জামালপুরের ভূমি দফতরের অফিস, দলিল রেজিস্ট্রি অফিস, জৌগ্রাম পঞ্চায়েত, এমনকী বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা শাসকের অফিস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে ভারথুর থানার পুলিশ। তারপরেও তাদের আটকে রাখা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup