‘ধন্যবাদ রাহুল গান্ধী…’, জার্মানির বার্তার পর দিগ্বিজয়ের টুইকে খোঁচা দিয়ে পাল্টা পোস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের

সাংসদ পদ খারিজ ঘিরে রাহুল গান্ধীকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতি তুমুলভাবে সরগরম। এদিকে, রাহুল ইস্যুতে ইতিমধ্যেই আমেরিকা মুখ খুলেছে। তারপরই এসেছে জার্মানি থেকে বার্তা। এদিকে, আমেরিকা জানিয়েছে, তারা রাহুল ইস্যুর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, জার্মানি জানিয়েছে, তাদের আশা ভারতে গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষা করা হবে। জার্মানির বার্তার পরই, জার্মানির বিদেশমন্ত্রককে ‘ধন্যবাদ’ জ্ঞাপন করে টুইট করেন দিগ্বিজয় সিং। এদিকে, সেই টুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা বার্তা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

দিগ্বিজয় সিংয়ের টুইটের প্রথমেই ছিল ‘ধন্যবাদ জার্মানির বিদেশমন্ত্রক’, সেই টুইটকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু পাল্টা টুইট শুরু করেন ‘ধন্যবাদ রাহুল গান্ধী’ লিখে। তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু লেখেন, ‘ধন্যবাদ রাহুল গান্ধী বিদেশি শক্তিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে দিতে আমন্ত্রণ করার জন্য। মনে রাখবেন ভারতের বিচারব্যবস্থা বাইরের শক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে না। ভারত সহ্য করবে না বিদেশী প্রভাব কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন নরেন্দ্র মোদী।’এদিকে, কিরেণ রিজিজু ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও রাহুলকে এই ইস্যুতে বেঁধেন। তিনি বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে বিদেশি শক্তিকে দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ করেছেন, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন রাহুল। এদিকে, এই অভিযোগ নস্যাৎ করে কংগ্রেস পাল্টা তোপে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ, যাতে বিজেপি রাহুল গান্ধীকে নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছে, তা প্রমাণ করে। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গান্ধী দেশের পরিস্থিতির কথা বাইরে বলেছেন মাত্র। সাহায্য চাননি।

 

উল্লেখ্য, এর আগে, বিদেশ সফরে গিয়ে সদ্য ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দেগে বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন ভারতের গণতন্ত্র হামলার মুখে। সেই বক্তব্য নিয়ে চড়েছিল দেশের রাজনৈতিক পারদ। এরপর ২০১৯ সালের এক মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। সাজা হয় ২ বছরের। এরপরই তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup