ফের বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক, মমতার গলায় আবার অন্য সুর

শহিদ মিনারের সভা মঞ্চ। রেড রোডে মমতার ধর্না মঞ্চ। দুটি মঞ্চ থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কার্যতবিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

এদিন তিনি সভামঞ্চ থেকে বলেন, এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলছেন আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচারব্যবস্থায় যখন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, অ্য়ান্টি ইন্ডিয়া গ্যাংয়ের সদস্য তখন বিচারপতিদের মুখে কুলুপ। বিজেপি যখন বলে তখন তাদের জন্য় আইন এক আর তৃণমূলের জন্য আর এক আইন?

তবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী অবশ্য় এদিন শহিদ মিনার মঞ্চ থেকে জানিয়েছেন, আমি জুডিশিয়ালে কোনও বিচারপতিদের সম্পর্কে বলতে পারি না। কোনও রায় নিয়ে বলতে পারি না।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। অভিষেক দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, কেউ কেউ মিডিয়ার আলোয় আলোকিত হয়ে তার বাইরে বেরোতে পারছেন না। রোজ খবর হওয়া যদি কারোর লক্ষ্য হয় তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের বলব আপনারা সত্য়ের সঙ্গে থাকুন। সরকার চায় আপনাদের চাকরি হোক।

এমনকী সেবার আন্দোলনকারীদের আইনজীবীদেরও কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, সিপিএমের কিছু আইনজীবী ও বিচারব্যবস্থার কেউ কেউ চাকরিপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। নিজেকে লার্জার দ্যান লাইফ প্রমাণ করতে চাইছেন। এভাবে কোনওদিন সুবিচার পাওয়া যাবে না। বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য রেখে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার বিশয়টি সুনিশ্চিত করুক।জানিয়েছিলেন অভিষেক।

তবে তারপরই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, বিচারব্যবস্থা বা বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওর একটু পড়াশোনা করা উচিত। লোকের কথায় প্ররোচিত হয়ে এসব বলে নিজের ভবিষ্যৎ উনি নিজেই অন্ধকার করছেন।

তবে তারপরেও অবশ্য থামেননি অভিষেক।এদিন ফের মুখ খুললেন তিনি।

এদিকে এর আগে একটি সংবাদমাধ্যমে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানয়েছিলেন, আমি যদি ওনাকে ডেকে পাঠিয়ে বলি প্রমাণ করুন যে কার মাথার উপর বিজেপির হাত রয়েছে! না হলে মিথ্যে কথা বলার জন্য তিন মাস জেল খাটুন। এদিকে বিচারপতির এই মন্তব্যের পরে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক থাকতে হয় বলেও ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। আর অবমাননাকর মন্তব্য করলে তার জন্য় উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থাও করা যায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।

আসলে নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মীরা তাণ্ডব চালিয়েছিল সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন, বিজেপি কর্মীরা জানেন বিচারব্যবস্থার একাংশের উপর বিজেপির হাত রয়েছে। তাই তারা জানে আমাদের কিছু জানে না। হাইকোর্টে গেলেই জামিন পেয়ে যাবে।