হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে পড়ল পেট্রল বোমা, কাচের বোতল, পালটা হামলায় জ্বলল দোকান

ফের হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হাওড়ার ক্যারি রোডে কাজিপাড়া এলাকায় রাম নবমীর মিছিলে বোমা ও পেট্রল বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাস্তার পাশে একাধিক দোকান ভাঙচুর হয়। আগুন দেওয়া হয় ফুটপাথের বেশ কয়েকটি দোকানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নেমেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার সন্ধ্যা বাজার কাছে অঞ্জনী পুত্র সেনার রামনবমীর মিছিলের আয়োজন করেছিল। মিছিলে বোমা ও মোলটভ ককেটল (পেট্রল বোমা) ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। মিছিল সক্ষ্য করে বিয়ারের বোতল ও কাচের বোতল ছোঁড়া হয়। ঘটনাতে ১০-১৫ জন রামভক্ত আহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে অঞ্জনী পুত্র সেনারা। তাঁদের উপরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় বলেও অভিযোগ। মিছিলের আয়োজকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপরে যারা হামলা চালালো তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

অঞ্জনী পুত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুরেন্দ্র বাবা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার অঞ্জনী পুত্র সেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ ৪২ টি সংগঠন একত্রে এই মিছিল বের করে। পুলিশ প্রশাসনকে এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের সুরক্ষার জন্য আগাম জানান হয়। যদিও গত বছরের মতো এই বারেও সন্ধ্যা বাজার এলাকাতে মিছিল প্রবেশের পরেই মিছিলে হামলা চালান হয়। তিনি পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন যদি অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তাঁরাও প্রতিরোধের পথে হাঁটবেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে কিসের সমস্যা হচ্ছে এই আক্রমণকারীদের?

উল্লেখ্য গত বছরেও অঞ্জনী পুত্র সেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে এই সন্ধ্যা বাজার এলাকা থেকেই ইঁট ও কাঁচের বোতল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিলো। যা নিয়ে পরবর্তীকালে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

এদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা আজকে দাঙ্গা করেছে, যতই মামলা করুক আর হামলা করুক, কোনও অজুহাত আমি শুনব না। পুলিশরা অনেক কাজ করে, তারা দুদিকের রিলেশন রাখতে গিয়ে অনেক সময় ভয় পেয়ে যায়। আমি পরিষ্কার বলছি আজকের ঘটনায় যারা দায়ী, যারা ঢুকতে দিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেব। একজন দোষ করবে সবার নামে দোষ হবে কেন? পুলিশের কাছে স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল যে মিছিলের পথ ঠিক করবে প্রশাসন। তার পরেও পুলিশ অনুমতি দিয়ে থাকলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। আমি দাঙ্গাকারীদের প্রশ্রয় দিই না। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি।

বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিয়তায় এই ঘটনা ঘটেছে।