রামনবমীর পুজো চলাকালীন গতকাল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ইন্দোরের একটি মন্দিরে। সেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়ে গেল। জানা গিয়েছে গভীর রাত পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকে। এখনও প্রায় ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্দোরের বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরের ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে গতকাল। সেই সময় রামনবমীর পুজো চলায় প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেই মন্দির চত্বরেই একটি উঠোন রয়েছে। সেখানে একটি পাতকুয়ো আছে। প্রায় ৩০ জনের মতো ভক্ত সেই কুয়োতেই পড়ে যান দুর্ঘটনার জেরে। (আরও পড়ুন: ‘৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে’, সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের)
এই ঘটনার খবর পেয়েই মন্দিরে পৌঁছে যায় স্থানীয় তিনটি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। উদ্ধারকাজে নামে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাতের দিকে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা। স্টেট ডিজাস্টার ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফোর্সের (এসডিআরএফ) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মহেশচন্দ্র জৈন বলেছেন, ‘রাতে সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। ৭০ জন সেনা জওয়ান উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এবং পাতকুয়োয় ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা অন্তত ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। দুর্ঘটনার পর এখনও নয়জন নিখোঁজ রয়েছে।’ এদিকে মহেশচন্দ্র জৈন জানান, পাতকুয়ো থেকে অনবরত জল বেরিয়ে আসায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছিল। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে সচিবালয় সহায়করা, মুখ্যমন্ত্রী লেখা হল খোলা চিঠি)
পুলিশসূত্রের খবর, রামনবমীর পুজোর হোম হওয়ার সময় মন্দিরের ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই ছাদের ওপর অনেক ভক্ত বসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ভারেই ছাদের অংশটি ভেঙে পড়ে বলে প্রাথমিক অনুমান। দড়ি দিয়ে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাতের দিকে উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, এক মহিলা মই বেয়ে ওপরে উঠছেন কুয়ো থেকে। কিন্তু আবার তিনি নীচে পড়ে যান। এরপরই স্থানীয় প্রশাসনের ওপর প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই আবহে গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের নিকটাত্মীয়কে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরের থেকেও মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।