Mamata Banerjee-Sujan Chakraborty: বাম আমলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর, পালটা চ্যালেঞ্জ সুজনের

বামেদের আমলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘বাম আমলে সব ফাইল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো চুরি করেছে।’ এ নিয়ে পালটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি ফাইল, কাগজপত্র সব আছে। তাতে কী রয়েছে খতিয়ে দেখা হোক। আমরা এই কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রী আর ফাইল প্রকাশ নিয়ে কথা বলার কোনও যুক্তি পাচ্ছেন না। তাই এখন তিনি এসব কথা বলছেন।’

সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি বলছেন সব ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বর্তমান রাজ্য সরকার ১৯৮৭ সালের ফাইল বেআইনিভাবে বের করেছে। তার মানে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁর এই কথার আর কোনও যুক্তি থাকছে না। উনি বলছেন, আমাদের ফাইল বের করবেন। আমরা যদি বলতাম ফাইল বের করবেন না তাহলে উনি হয়তো বলতেন থাক আর ফাইল বের করলাম না। কিন্তু আমরা তো ফাইল বের করার কথাই জানাচ্ছি। তাতেই উনি বিপাকে পড়েছেন।’ প্রসঙ্গত, বুধবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ প্রসঙ্গে বামেদের আক্রমণ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আক্রমণ করে বলেন, ‘এরা বাম আমলে চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সেই চোর ডাকাতগুলি গিয়ে মঞ্চে বসে আছে।’ অন্যদিকে, বাম আমলে নিয়োগে দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক, সেকেন্ডারি এবং হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০১, ২০০২, ২০০৯ এবং ২০১০ সালের ফাইল সব লোপাট করেছে ওরা।

নাম না করে সুজনের স্ত্রীর চাকরি বিতর্ক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘বাম নেতাদের বউরা চাকরি পেয়েছে। খাতাটা খুলব। এখন একটু পেনশন নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। কেউ ৫৫ হাজার টাকা আর কেউ ৬০ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছে।’ যদিও সুজন চক্রবর্তী জানান, তাঁর স্ত্রী ৫৫ হাজার টাকা পেনশন পান না। এরপর মমতার আক্রমণ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, গৌতম দেবের মতো নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করতে পারেননি। আমার বিরুদ্ধে খুন এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু করতে পারেনি। তাই আমার স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এমনকী আমার স্ত্রীর প্রয়াত পিতাকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ১৯৯০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমস্ত নিয়োগ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলেছেন। আমরা চাই সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup