Odisha: জমি অধিগ্রহণ আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েও পিছু হঠল সরকার, কেন?

দেবব্রত মোহান্তি

জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে ও স্বচ্ছতা আনার ব্যাপারে বিলের প্রস্তাব আনার পরেও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকার শুক্রবার সেই বিলকে প্রত্যাহার করে নিল। গত ২২ মার্চ রেভিনিউ মিনিস্টার প্রমীলা মল্লিক জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ২০২৩ সংক্রান্ত অ্যাক্টের প্রস্তাব এনেছিলেন। আর তার ৯দিনের মধ্যেই সেই অ্যাক্টকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। তবে এই বিল প্রত্যাহারের ব্যাপারে তিনি অবশ্য় নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। মূলত ২০১৩ সালে জমির অধিগ্রহণ সংক্রান্ত যে আইন ছিল সেটাকেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা অবশেষে প্রত্যাহারও করে নেওয়া হল।

এদিকে একাধিক প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে এই আইনকে প্রয়োগ করা হয়। গণশুনানির নিরিখেও এই আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি, সরকারি দফতর তৈরি, বিদ্যুৎ প্রকল্প, সেচ প্রকল্প, আবাসন তৈরি ও পানীয় জল প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে এই আইনকে প্রয়োগ করা হয়।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত ২০২৩ সালের পরিমার্জিত যে বিলটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তার প্রভাব সামাজিক ক্ষেত্রে কী পড়তে পারে তা কার্যত এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল।এদিকে সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এই অ্যামেন্ডমেন্ট অত্যন্ত জরুরী। কারণ একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নানা জটিলতার জেরে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। যার জেরে একাধিক প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে জট। সেই জট কাটানোর জন্যই এই আইনের পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছিল সরকার। কারণ এটা না করলে ওড়িশায় শিল্পায়নের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। সেকারণেই আগের আইনটি পরিমার্জনের কথা বলা হয়েছিল।

কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা এই আইনের পরিমার্জনের ক্ষেত্রে সামাজিক প্রভাবের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বহু ফসলী জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আগের উর্ধসীমাটাও তুলে দেওয়া হয়েছিল। মূলত জাতীয় সুরক্ষা ও দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের এই সীমা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তার সঙ্গেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন, সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ, সেচ প্রকল্প, শিল্প তালুক তৈরির সরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রে বহুফসলী জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা থাকত না নয়া আইনে।

এদিকে ২০১৬ সালে এই অ্যামেন্ডমেন্ট এনেছিল। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এই আইনের পরিমার্জন এনেছিল।