Stormy Daniels on Donald Trump: এই পর্নস্টারের জন্যই কপাল পুড়েছে ট্রাম্পের, মামলা শুরুর পর কী বললেন তিনি?

পর্নস্টারের সঙ্গে সম্পর্ক লুকোতে ঘুষ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে মামলা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে গ্র্যান্ড জুরি। এবং জুরির এই নির্দেশের পরই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস শ্যাম্পেনের বোতল খুলে উদযাপন করেছেন। এক টুইট বার্তায় স্টর্মি লেখেন, ‘আপনাদের সমর্থন এবং ভালোবাসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ! আমার কাছে এত বেশি মেসেজ আসছে যে আমি সবাইকে একে একে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না… এছাড়াও আমি আমার শ্যাম্পেনের গ্লাস ছড়াতে চাই না। এদিকে অনেক মার্চেন্ডাইজ এবং অটোগ্রাফের অর্ডারও আসছে! আপনাদের সবাইকেই ধন্যবাদ। কিন্তু অর্ডার পৌঁছনোর জন্য কয়েক দিন অতিরিক্ত সময় লাগবে।’ (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে সচিবালয় সহায়করা, মুখ্যমন্ত্রী লেখা হল খোলা চিঠি)

এদিকে অনুমান করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে জেলে যেতে পারেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য লুকিয়ে রাখতে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি মামলা শুরু হবে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। যদিও জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী জুরির সামনে দাবি করেছেন যে ট্রাম্পের হয়ে পর্নস্টারকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন তিনি। এক দশক পুরনো এক ঘনিষ্ঠ রাতের কথা ধামাচাপা দিতেই নাকি তা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে’, সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের

জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে ট্রাম্পের তরফ থেকে তাঁর আইনজীবী পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে টাকা দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করেছিল। এই আবহে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। এই প্রথমবার কোনও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড জুরি ইতিমধ্যেই অভিযোগ গঠন করেছে। এর আগে এই নিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকে ‘বেআইনি ভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে’। এই আবহে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই দাবি করেছিলেন যে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন সম্প্রতি জুরির সামনে নিজের জবানবন্দি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। আর তারপর থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ট্রাম্পের গ্রেফতারি নিয়ে। এরই মাঝে গ্র্যান্ড জুরির তরফে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল।