রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজের জীবনাবসান

রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মবীর মহারাজ তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজের জীবনাবসান। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। কিছুদিন ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন শিশু মঙ্গল হাসপাতালে। আর সেখানে তাঁর দীর্ঘ জার্নি থেমে গেল। তবে তিনি রেখে গেলেন অগণিত ভক্তকে। অগণিত সর্বত্য়াগী সন্ন্যাসীকে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেলুড়ে শায়িত থাকবে তাঁর দেহ। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাবে সেখানেই।

এদিকে তাঁর প্রয়াণে শোকাহত রামকৃষ্ণ অনুরাগীরা। অনেকেই তাঁর স্মৃতিচারণা করছেন। অত্যন্ত স্নেহপ্রবণ ছিলেন প্রভানন্দ মহারাজ। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন তিনি। তিনি গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের দায়িত্ব অত্যন্ত সুচারুভাবে সামলেছেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্য়েও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

প্রভানন্দজী মহারাজ লেখালেখির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। একাধিক বই রয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন। তবে মহারাজের পূর্বাশ্রম সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তিনি আদতে পূর্ববঙ্গের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রবেশের পরে তিনি বরুণ বলে পরিচিত ছিলেন। সন্ন্যাস নেওয়ার পরে তাঁর নাম হয়েছিল প্রভানন্দজী। তবে অনেকের কাছে তিনি ছিলেন বরুণ মহারাজ। সাইকোলজি নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা করার সময় স্বামী লোকেশ্বরানন্দ মহারাজের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। আর সেই শুরু। ধীরে ধীরে মিশনের কর্মকান্ডের প্রতি তাঁর টান জন্মাতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে তিনি উৎসর্গ করেন মানব সেবায়।

রামকৃষ্ণদেব, বিবেকানন্দের আদর্শে তিনি অবিচল ছিলেন জীবনভর। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজ প্রয়াত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। বেলুড় মঠের কালচারাল হলে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।