মোদী, অমিত শাহ চুপ কেন? বাংলা, বিহারের হিংসা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যসভার MP

বাংলায় নতুন করে হিংসার আগুন। রিষড়ার রাস্তায় একের পর এক হিংসার ঘটনা। অন্যদিকে বিহারের সাসারাম সহ বিভিন্ন জায়গায় হিংসার আগুন জ্বলেছে।এবার এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এই সময় মোদী, অমিত শাহ নীরব কেন?

কপিল সিব্বল এদিন আবেদন করেছেন, বাংলা ও বিহারে এই হিংসা বন্ধ হোক। ঘৃণার বীজ যাতে বপন করা না হয় তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এই সব ঘটনায় অতি সাধারণ মানুষ বলি হন। এসব বন্ধ হোক।

তিনি বলেন, আমি চাই যেন প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে কথা বলেন। আমি চাই অমিত শাহ যেন এনিয়ে কথা বলেন ও ঘটনার নিন্দা করেন। কিন্তু এত হিংসার মাঝেও তাঁরা কোনো কথা বলছেন না। তাঁরা একেবারে চুপ করে রয়েছেন।

তিনি বলেন, সকলকে আমার আন্তরিক আবেদন এটা একটা কোনও দলের ঘটনা নয়। এই পাগলামোর জন্য যারা দায়ী। এই পরিবেশ থেকে দেশের বেরিয়ে আসা দরকার। ২০২৪টি যেন এর কারণ না হয়। আইনের শাসন প্রয়োগ করা হোক। জানিয়েছেন কপিল সিব্বল।

তবে সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিহারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সেই রাজ্য়ের রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, বাংলার ঘটনা নিয়েও তিনি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর।

তবে কপিল সিব্বলের দাবি এটাই যথেষ্ট নয়। এদিকে পুলিশ বিহারের হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৫জনকে গ্রেফতার করেছে। সেখানে একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহারে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। বিহারের নালন্দা জেলায় ও রোহতাস জেলার সাসারাম শহরে এই হিংসার ঘটনা হয়েছে। অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। শনিবার সন্ধ্যায় দুজন পুলিশও জখম হয়েছেন হিংসার ঘটনায়। পটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা।

নালন্দা থেকে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে আগেই হিংসার ঘটনা হয়েছিল। তারপরের দিন লাহেরি থানা এলাকায় বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তারা প্রকাশ্য রাস্তায় নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জেরে চারজন জখম হয়েছে।

বাংলার কাজিপাড়াতেও হিংসা ছড়িয়েছিল।

কপিল সিব্বল এর আগে কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তবে গত বছর মে মাসে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। তাঁর অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে পরে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় যান।