‘রাজনৈতি স্বার্থে একটি সম্প্রদায়কে তাণ্ডব চালানোর ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে রাজ্য’

রাজনৈতি স্বার্থে একটি সম্প্রদায়কে তাণ্ডব চালানোর ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। এটাই তাদের নীতি। হাওড়া হিংসা নিয়ে শনিবার সকালে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, CAA হিংসা, নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে হিংসার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায়নি কেন?

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘কেউ বলল, বুলডোজার নিয়ে মিছিল হয়েছে। কেউ বলছে বন্দুক নিয়ে হয়েছে। পুলিশ দেখতে পেল না? রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছা করে গন্ডগোল করিয়েছেন ওনারা। এখন পিঠ বাঁচানোর জন্য এসব বলছেন। এই ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয়। CAA পাশ হওয়ার পর ৩ দিন ধরে আগুন জ্বলেছে। ২৫০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এই পুলিশ কিচ্ছু করেনি। দাঁড়িয়ে দেখছিল। তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি’।

দিলীপবাবু মনে করান, ‘নূপুর শর্মার ঘটনার পরে ১ দিনের মধ্যে সারা দেশ ঠান্ডা হয়ে গেছে। এখানে তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে। হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে, মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বিজেপির সব অফিস পোড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের দোকানপাট লুঠ করা হয়েছে। তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি। কারণ তারা এগুলো করিয়েছিলেন’।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘শান্তিপূর্ণ একটা ধার্মিক মিছিলে হামলা করানো হয়েছে। সারা দেশ, সারা রাজ্য ছিঃ ছিঃ করছে। প্রকাশ্যে ছাদের ওপর থেকে ইট পাটকেল ছোড়া হচ্ছে। তার পরে এসে পাড়ায় পাড়ায় ভাঙা হয়েছে। কাল নমাজের পরে সেই সব জায়গায় হামলা করা হয়েছে যেখান থেকে সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সরবৎ খাইয়েছেন। সেখানে বোতল ছোড়া হয়েছে। পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মানে করতে দিচ্ছে উৎপাত। এটাই ওদের সরকারি পলিসি, কারণ এতেই ওদের রাজনৈতিক লাভ হয়’।