Bird: গান গাইল পাখি, রেকর্ড করলেন পক্ষীপ্রেমীরা, বাংলার কলতান সোস্যাল মিডিয়ায়

নিঃসন্দেহে অভিনব উদ্য়োগ। গাছে বসে আছে পাখি। আপনি হয়তো দেখতেই পাচ্ছেন না। আপন মনে হাঁটছেন সেক্টর ফাইভের রাস্তা ধরে। আচমকাই কুহু কুহু শব্দ। মন হারিয়ে যায় এই পাখির শব্দে। তবে অনেকে বলেন, ইদানিং সেই শব্দ হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। তবে এবার রাজ্যজুড়ে সেই পাখির গানই রেকর্ড করার উদ্যোগ নিলেন পক্ষীপ্রেমীরা। সকাল বেলা যখন গাছের মাথায় বসে গান ধরে ছোট্ট পাখি তখন সেই গান ঠিক কেমন শোনায় সেটাই রেকর্ড করা হল। পুকুরপাড়ে সজনে গাছে হলুদ পাখিটা যখন গান ধরে, কিংবা আম গাছে বসে সেই যে কোকিলের চিরাচরিত ডাক সেটাকেই রেকর্ড করা হল এবার। গোটা রাজ্য জুড়ে এই অভিনব ও শুভ উদ্যোগ।

পক্ষীপ্রেমীদের উদ্যোগে রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পাখিদের ডাক রেকর্ড করা হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হল সেই পাখির গান। সেই গানে মন ভরল অগণিত মানুষের।

সূত্রের খবর, এদিন ভোরবেলা রবীন্দ্র সরোবর, চিন্তামণি কর পাখিরালয় সহ রাজ্যে ২৫টি জায়গায় পাখির ডাক রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা করা হয়। অপূর্ব সেই ডাক। মন ভালো করা গান। একটি পাখিপ্রিয় কিছু মানুষের উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হবে পাখিদের এই ডাক।

আসলে প্রকৃতির পরিবর্তন, নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে পাখির ডাক। বাড়ির সামনে যে গাছে বসে ডাকত একঝাঁক পাখি, সেই গাছটাকে কেটে যখন ফ্ল্যাট তৈরি হয়ে যাচ্ছে তখন সেই পাখির দলও যেন কোথায় চলে যায়। যে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙত আপনার তারাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ডন কোরাস দিবসের অঙ্গ হিসাবেই এই উদ্যোগ। আয়ারল্যান্ড রেডিওর উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে গোটা বিশ্বজুড়েই ধাপে ধাপে এই কাজ হয়ে আসছে। তবে পক্ষী বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে পাখির ডাক পরপর রেকর্ড করলে বোঝা যায় পাখি কমছে নাকি বাড়ছে।

কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর, জোকা, গড়িয়া, নিউ টাউন, হাবড়া, শ্রীরামপুর, অযোধ্যা পাহাড়, আসানসোল, মুর্শিদাবাদের কান্দি সহ দার্জিলিংয়ে লাভা, মহানন্দা অভয়ারণ্যে পাখির ডাক রেকর্ড করা হয়েছে। সাধারণ রেকর্ডার ও মোবাইলের মাধ্যমে রেকর্ডিং করা হয়েছে পাখিদের ডাক। প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী এই পাখির কলতান রেকর্ডিং করেছেন। তারপর তা সাধারণ মানুষকে শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।