CID Probe in Howrah Violence: হাওড়ার হিংসায় তদন্ত শুরু সিআইডির, অভিযুক্তদের কাছ থেকে মিলল অ্যাসিড, তলোয়ার!

রামনবমীর সন্ধ্যায় শিবপুরের অশান্তির সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি। তদন্তের প্রথম দিনই বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাত তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিবপুর অঞ্চলে ‘শান্তি বৈঠক’ করা হয়। এদিকে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পোট্রোল, অ্যাসিড এবং তলোয়ার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু হকি স্টিকও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে নয়া মোড়, বৈশাখেই যৌথ মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ‘১২ জুলাই কমিটি’)

তদন্তের খাতিরে হিংসা শুরুর দু’দিন পর, গতকালই এলাকা পরিদর্শনে যান সিআইডি গোয়েন্দাদের। হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠীও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী আজ বলেন, ‘আমি সকলকে নিশ্চিন্ত হওয়ার আবেদন করছি। এখন ভয় পাওয়ার আর কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ চলাফেরা করছে। হিংসার ঘটনায় মোট ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে।’ এদিকে এলাকায় এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ মোতায়েন রয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুরের পর নতুন করে আর কোথাও অশান্তি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে হাওড়ার আইনশৃঙ্খলা সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন ১১ জন আইপিএস অফিসার।

আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে ‘আমূল পরিবর্তন’, রাজ্য সরকারকে ‘বাইপাস’ করে কী জানাল কেন্দ্র?

প্রসঙ্গত, শুক্রবারও শিবপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। কাজিপাড়া, ফজিরবাজার, কুণ্ডলবাগান থেকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তাণ্ডব চালায় গোটা এলাকা জুড়ে। তারপরই জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। উল্লেখ্য, এই হিংসার সূত্রপাত রাম নবমীর মিছিল ঘিরে। দাবি করা হয়েছে, এই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা নামে একটি সংগঠন। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট, পাথর এবং বোমা ছোড়া হয়। অঞ্জনী পুত্র সেনার অভিযোগ, কর্মসূচির জন্য আগাম পুলিশের অনুমতি নেওয়া থাকলেও মিছিলে হামলা হয়। উল্লেখ্য, গতবারও রামনবমীর মিছিলে এই এলাকায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের দাবি, বিকেলের পর সন্ধ্যাবাজারের কাছে মিছিল পৌঁছলে সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে মদের বোতল ও ইট-পাথর ছোড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। হিংসার ঘটনায় ৫-৬ পুলিশকর্মী সহ প্রায় ১০-১৫ জন জখম হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে রবিবার সকালে এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত।