Jalpaiguri: দিদিমণির গোটা ডিম,পড়ুয়ার অর্ধেক, শিক্ষিকা দেরিতে, ক্লাস নেন অভিভাবক

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তার সঙ্গেই ডিএর দাবিতেও দীর্ঘ আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আদৌ কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে ক্লাস করান তা নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা ওঠে। এবার জলপাইগুড়ির স্কুলে শিক্ষিকাদের একাংশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শনিবার স্থানীয় অভিভাবকরা স্কুলে এসে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি স্কুলে নিয়মিত আসেন না দিদিমণিরা। এলেও দেরি করে আসেন। এরপর টিচার্স রুমে ঢুকে গল্প মসগুল হয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির ভান্ডানি নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে পড়াশোনা কার্যত লাটে উঠেছে। বেশিরভাগ সময়ই দেরি করে স্কুলে আসেন শিক্ষিকারা। অভিযোগ অভিভাবকদের। এদিকে শনিবার সেই ঘটনার জেরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দ্রুত স্কুলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি ক্লাসও নিতে শুরু করেন। এমনকী স্থানীয়রাও ক্লাস নিতে শুরু করেন।

পরে এক এক করে শিক্ষিকারা আসেন স্কুলে। তাঁরা এসেই নানা অজুহাত দিতে শুরু করেন। একজন শিক্ষিকা বলেন, রাস্তায় দেরি হয়ে গেল। অন্য দিন সময়ে আসি। কিন্তু পড়ুয়াদের অর্ধেক ডিম আর শিক্ষিকাদের কেন গোটা ডিম সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা।

অপর এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, রাস্তায় দেরি হয়ে গেল। ঘুরপথে আসতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। অন্যদিন ঠিক সময়েই আসি।

তবে অভিভাবকদের দাবি, দিদিমণিরা ক্লাস নিতেও যান না। বেশিরভাগ দিনই দেরি করে স্কুলে আসেন। মিড ডে মিল থেকেও গোটা ডিম খান দিদিমণিরা। আর বাচ্চাদের দেন অর্ধেক ডিম। তবে মিড ডে মিলের কর্মীরা জানিয়েছেন, যেটা বলা হয়েছে সেই অনুসারেই কাজ করি আমরা।

সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থা জলপাইগুড়ির ওই স্কুলে। এদিকে অনেক আশা নিয়ে প্রান্তিক জেলার পড়ুয়াদের সরকার পোষিত প্রাথমিক স্কুলে পাঠান অভিভাবকরা। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা অত্যন্ত করুণ। এনিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। তবে এদিন এক শিক্ষিকা অবশ্য হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি, এরপরেও তাঁরা স্কুলে সঠিক সময়ে আসবেন এমনটা নয়। কারণ স্কুলে দেরিতে আসাতেই তাঁদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এটার কোনও পরিবর্তন হবে না সহজে।