ফের রবিনসন কাণ্ডের ছায়া! এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকা। সাগরদিঘির পোপার গ্রামে মৃত মায়ের দেহ কয়েকদিন ধরে আগলে বসে থাকল ছেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এটি খুনের ঘটনা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় পুলিশ মহিলার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পূর্ণিমা দাস। ছেলের নাম সর্বেশ্বর দাস। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে মা ও ছেলে থাকতেন গত তিনদিন ধরেই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। শনিবার বিকট দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়রা ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। পরে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় পচাগলা মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছে ছেলে। ঘটনায় সাগরদিঘি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতার ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি এটি খুনের ঘটনা কিনা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখা গিয়েছিল। মাসখানেক আগেই হাওড়ার জগাছায় স্ত্রীর মৃতদেহ আগে বসে ছিলেন স্বামী। সমীক্ষার কাজে গিয়ে বিষয়টি নজর এসেছিল হাওড়া পুরসভার কর্মীদের। মৃতার নাম ছিল তপতী চক্রবর্তী। প্রায় চার পাঁচ দিন ধরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী তুষার চক্রবর্তী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও, বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকায় ভাইয়ের দেহ আগলে রেখে ছিলেন দাদা ও বউদি। দাদা অশোক কর্মকার এবং বউদির সঙ্গে থাকতেন ৫৬ বছর বয়সের সনৎ কর্মকার। দুই ভাই মিলে একটি টেপ এবং রেডিও সারাইয়ের দোকান চালাতেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে সেখানে দেখতে পায় সনৎ কর্মকারের মৃতদেহ পড়েছিল। আর তাঁকে আগলে ছিলেন তাঁর দাদা এবং বউদি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup