অবসরের পর বাড়ি ফিরে বীরের সংবর্ধনা পেলেন স্বর্ণমন্দির অভিযানের সেনাকর্মী

দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রাণ বাজি রেখে লড়েছিলেন অমৃৎসরের স্বর্ণমন্দিরের মধ্যে ঢুকে পড়া খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি। অবরের পর বাড়ি ফিরতে তাঁকে বীরের সংবর্ধনায় ভাসালেন স্থানীয়রা। ৪০ বছরের কর্মজীবনের শেষে গাজোল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই তাঁকে ফুল মালায় ভরায় জনতা। স্টেশনের বাইরেও তখন জনসমুদ্র। সৈনিকের জন্য সাধারণ মানুষের আবেগ দেখে আপ্লুত অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায়।

সোমবার সকাল ৯টায় গাজোল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামেন বিনালবাবু। পরনে তখনও সেনার উর্দি। আগে থেকেই স্টেশনে ছিল যাবতীয় আয়োজন। ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরা। বর্ণময় শোভাযাত্রা করে বিনালবাবুকে বাড়িতে নিয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে ফুল মালায় তাঁকে বরণ করে নেন পরিবারের সদস্যরাও।

অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার বিনাল চন্দ্র রায় জানান, ‘আমার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ৩০ মে। ৪০ বছর দেশের সেবা করে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছি। অবসরের পর একটু মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের কাছে ফিরতে পারায় সেই দুঃখ মিটে গিয়েছে। স্বচ্ছভাবে চাকুরিজীবন পার করে অবসর নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারায় গর্ব অনুভব করছি।

তিনি জানান, কর্মজীবনে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাঞ্জাবের ঘটনা। স্বর্ণমন্দিরে আমার ডিউটি চলছিল সহকর্মীদের সাথে। তখন সবে ৫ বছর হল সেনায় যোগ দিয়েছি। কোনদিনও ভাবিনি যে এই ঘটনার সাক্ষী থাকবো। স্বর্ণ মন্দিরে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে ২৮ দিন ধরে লড়াই করে জয়ী হয়েছিলাম আমরা। ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল। ছত্রিশগড়ে আমার সামনে আইইডি বিস্ফোরণে এক জাওয়ান আহত হন। সেই জাওয়ানকে আমি উদ্ধার করে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। তিনি বলেন, চাকরি জীবন শেষ করে বাড়ি ফিরে এমন সংবর্ধনা পাব কখনও ভাবিনি। নিজের গ্রামে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। এখানকার যুবাদের সেনাবাহিনী যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করব।