Kerala Train Fire: কেরলে চলন্ত ট্রেনে শিশু-সহ ৩ যাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন, অগ্নিদগ্ধ আরও অনেকে!

কেরলে আলাপুঝা-কান্নুর এক্সপ্রেসে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটল রবিবার রাতে। এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি সহযাত্রীদের গায়ে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও অনেক যাত্রী। কী কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, আলাপুঝা-কান্নুর এক্সপ্রেসটি গতরাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ উত্তর কেরলের কোঝিকোড় স্টেশন ছেড়ে যায়। এর পরপরই ট্রেনের ডি ১ কোচে ঘটনাটি ঘটে। (আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার)

পরবর্তীতে এই ঘটনায় মৃত তিনজনের দেহ রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় আতঙ্কে তারা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মৃত তিনজনের মধ্যে দুই প্রাপ্তবয়স্কের নাম হল – তৌফিক এবং রেহানা। এদিকে পুলিশ রেললাইনের পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। তাতে এক বোতল পেট্রোল ছিল এবং দু’টি মোবাইল ফোন ছিল। এর থেকেই পুলিশের মনে সন্দেহ জেগেছে যে হয়ত এটা কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক ছিল।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সমান ডিএ এই রাজ্যে, ‘এগিয়ে বাংলা…’, শুভেচ্ছা বার্তা শুভেন্দুর

ঘটনা প্রসঙ্গে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, ট্রেনটি কোরাপুজা নদীর ধারে একটি সেতুতে থামে। এর পরপরই প্রায় ৩০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ট্রেন থেকে লাফি দিয়ে নীচে নামে। তার জন্য একটি বাইক অপেক্ষা করছিল। সেটা করে সে পালিয়ে যায়। পুলিশ রেললাইনের কাছের এক বাড়ির সিসিটিভি থেকে ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। সেই ভিডিয়োতে আততায়ীকে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিয়ো দেখেই পুলিশের অনুমান, ঘটনাটিকে একটি সুপরিকল্পিত হামলা ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে এলাথুর এবং কোয়িলন্দি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে।

আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে ‘আমূল পরিবর্তন’, রাজ্য সরকারকে ‘বাইপাস’ করে কী জানাল কেন্দ্র?

এদিকে ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন পুলিশকে বলেছেন যে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি দাহ্য পদার্থের একটি বোতল বের করে সহযাত্রীদের উপর স্প্রে করে। তারা কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই সেই ব্যক্তি তাদের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কোঝিকোডের পুলিশ কমিশনার আজই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তিরিত তথ্য জানানোর জন্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলেও খবর মিলেছে।