Kerosine Oil: কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কেন আবার ঢোঁক গিলতে হল?‌

বাংলার রেশন গ্রাহকদের কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমিয়ে এবার বেকায়দায় পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। এমন বেকায়দায পড়ল যে, ছ’মাসের মধ্যে আবার বরাদ্দ বাড়িয়ে আগের জায়গায় নিয়ে যেতে হল মোদী সরকারকে। গত জানুয়ারি মাসে ত্রৈমাসিক মোট বরাদ্দ কমিয়ে মাত্র ২২ হাজার ৩৫৬ কিলোলিটার করা হয়েছিল। এপ্রিল মাস থেকে তা বেড়ে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রক এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে রাজ্যপিছু কেরোসিন তেলের বরাদ্দ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের আগে পশ্চিমবঙ্গ যে পরিমাণ কেরোসিন তেল পেত এবার সেটাই এপ্রিল মাস থেকে পাবে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল?‌ কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমানো নিয়ে মামলা হয়েছিল। বাংলার জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ আগে যা ছিল, তাতেই স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যের কেরোসিন বরাদ্দ ২০১৬ সাল থেকে কমাতে পারলেও বাংলায় সেটা করতে পারেনি। গত জুলাই মাসে কলকাতা হাইকোর্টে চলা ওই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। এই সুযোগে কেন্দ্রীয় সরকার সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের ত্রৈমাসিক বরাদ্দ একধাক্কায় কমিয়ে ৮৮ হাজার ৩২২ কিলোলিটার করে দেয়। এমনকী জানুয়ারি মাসে বরাদ্দ আরও কমানো হয়। তখন হোলসেলারদের সংগঠনের অন্য কয়েকজন পদাধিকারী মামলা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে আবার আবেদন করেন।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশটি ‘অকার্যকর’ করার রায় দেন। তার জেরে বাংলার কেরোসিন বরাদ্দ কমানো যাবে না বলে যে স্থগিতাদেশ ছিল, সেটাই কার্যকরী হয়। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে বরাদ্দ না কমানোর আবেদন আগেই করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার তাতে কর্ণপাত করেননি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেরোসিনের বরাদ্দ বাড়াতে বাধ্য হল কেন্দ্র। তাতেই সংগঠনের কয়েকজন বলছেন, গুঁতো না খেলে এই সরকার কথা শোনা না।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কেন্দ্রীয় সরকার দফায় দফায় রেশনের কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করার জেরে গরিব গ্রাহকদের বড় অংশ তা কিনতে পারছেন না। কয়েক মাস আগেই এক লিটার কেরোসিনের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য দাম ৭০ টাকার আশপাশেই থাকছে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ কেরোসিন ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত বলেন, ‘‌কেরোসিনের দাম ৫০ টাকার আশপাশে থাকা উচিত। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি রেশনে কেরোসিন বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। কীসের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেটা আদালতে পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি পেট্রলিয়াম মন্ত্রক।’‌