Recruitment scam: টনক নড়েছে! ‘অযোগ্যদের’ খুঁজে বার করতে রাজ্য জুড়ে অডিট পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর টনক নড়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের। ‘অযোগ্যদের’ খুঁজে বার করতে রাজ্য জুড়ে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতর। সূত্রের খবর প্রাথমিক ভাবে তিনটি পর্যায়ে অডিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অডিটের তালিকা থেকে কলকাতা পুরসভাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তিন ধাপের প্রথমে অডিট হবে কলকাতার সংলগ্ন পুরসভাগুলিতে। দ্বিতীয় ধাপে হবে দক্ষিণবঙ্গের পুরসভাগুলিতে এবং তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে উত্তরবঙ্গের পুরসভাগুলির।

কিছুদিন আগে এক প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এরকম প্রমাণ তো হাতে এসেছে। নিয়োগের দায়িত্বে থাকা এজেন্সি কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে। সবটাই আমাদের খুঁজে বার করতে হবে। কাউন্টার চেক করে নিতে হবে।’ তার পরই দফতরের থেকে এই অডিটের সিদ্ধান্ত।

কমিশনের আওতায় আসার আগে

২০১৮-১৯ এর আগে কলকাতা ছাড়া রাজ্যের কোনও পুরনিগম বা পুরসভা মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্গত ছিল না। সেই সময় পুরসভাগুলির কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা পুরসভার গঠিত কমিটি সেই সিদ্ধান্ত নিত। পরবর্তীকালে রাজ্যের সব পুরনিগম ও পুরসভায় কর্মী মিউনিসপ্যাল সার্ভিস কমিশনের আওতায় চলে আসে। কমিশনের নাম বদলে হয় ওয়েস্টবেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন।

২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ ছাড়া বাকি সব স্থায়ী কর্মী নিয়োগ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অধীনে হত। তার পর থেকে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অধীনে চলে আসে। তবে এখনও পুরসভাগুলোতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ এজেন্সির মাধ্যমে হয়।

(পড়তে পারেন। ১০০ কোটি টাকা প্রতারণায় কৌশিকের সঙ্গে কারা জড়িত? বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ইডির )

তিন এক্কে এক

২০১৮-১৯ এর আগে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অধীনে না থাকায় রাজ্যের সবকটি পুরসভায় স্থায়ী কর্মী নিয়োগ এজেন্সির মাধ্যমে হতো। এজেন্সিগুলি নিয়োগের বরাত পেত টেন্ডারের ভিত্তিতে। কিন্তু সেখানেও থাকত গলদ। আইন অনুযায়ী, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম তিনটি সংস্থাকে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভুয়ো কোম্পানি খুলে একজনই অংশগ্রহণ করত। প্রভাব খাটিয়ে সেই সংস্থা কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব পেয়ে যেত। 

ইডি-র দাবি এই ব্যবস্থাতেই ফুলে ফেঁপে উঠে অয়ন শীল। প্রভাব খাটিয়ে কোথাও পাঁচ বছর, কোথাও সাত বছর নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছে একটি সংস্থা। শুধু নিয়োগ নয় অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজে পেয়ে যায় কোনও নির্দিষ্ট একটি সংস্থা।