Abhishek Banerjee: অভিষেকের নেতৃত্বে রাজধানীতে ধরনায় তৃণমূল কংগ্রেস, কোথায় এমন কর্মসূচি?

একশো দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) রাজ্যের বকেয়া না মেটানোয় এবার গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর অফিসে প্রতিবাদ জানাতে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দুয়ারে যাবেন। মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা এবং রাজ্যসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। ‌কিন্তু সময় না পেলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দফতরের সামনে ধরনায় বসবে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধরনায় বসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা।

এদিকে কয়েকদিন আগে রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তুলেছিলেন, এবার দিল্লি চলো। আর তারপর শহিদ মিনারে ছাত্র–যুব সমাবেশে যোগ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার প্রয়োজনে দিল্লি অচল করা হবে। গরিব মানুষের ন্যায্য আদায় করেই ছাড়ব। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে এই ধরনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। মন্ত্রী যদি সময় না দেন, তাহলে সংসদ ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মন্ত্রকের অফিস কৃষিভবনের সামনে ধরনায় বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দলের সাংসদরাও। যদিও পুলিশ অনুমতি দেবে না বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে বুধবার নয়াদিল্লিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলার গরিব মানুষের টাকা আর মোদী সরকারকে আটকে রাখতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সংসদ ভবনে দলের কার্যালয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই ধরনা, বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বুধবার সব সাংসদকে হাজির থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন যেহেতু চলছে না, তাই সংসদের বাইরে এবার সরাসরি মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েই রাজ্যের প্রায় লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পাওনা নিয়ে হেস্তনেস্ত চান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এদিনও কালো কাপড় মুখে দিয়ে সংসদে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহের ধরনা মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‌নেতাজি, গান্ধীজির মতো মণীষীদের ছবি হাতে নিয়ে, আমরাও দিল্লি যেতে পারি। প্রয়োজনে ভাড়া করে ট্রেনে যাব। সংরক্ষণ না দিলে, মানুষ তার জবাব দেবে। যেখানে আটকে দেবে সেখানেই পথে বসে পড়ব।’‌ তবে ডিএমকে’র আয়োজনে সামাজিক ন্যায় বিষয়ক এক আলোচনায় এদিন বিরোধী জোটের মহড়া হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বাংলায় সামাজিক প্রকল্পের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, বিবেকানন্দ স্কলারশিপের কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বলেন, ‘‌এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিরোধীদের একজোট করার উদ্যোগ আরও বেশি করে প্রয়োজন। নবীন পট্টনায়েক এবং জগন্মোহন রেড্ডিরও মোদী বিরোধী জোটে যোগদান করা উচিত।’‌