Donald Trump charges: পর্নস্টারকে ঘুষ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ৩৪টি অভিযোগ!

গতকাল নিউ ইয়র্কের এক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে প্রতিটি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। বিচারক এই সাজা পরপর দিতে পারেন, যার অর্থ ট্রাম্পকে দীর্ঘ কারাবাসে যেতে হতে পারে। তবে এই অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। এই আবহে দোষী সাব্যস্ত হলেও, ট্রাম্পকে জেলে যেতে নাও হতে পারে। তবে ২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর লড়াই করার স্বপ্ন ভাঙতে পারে। (আরও পড়ুন: নতুন উচ্চতায় বন্দে ভারত, ছুটবে দেশের প্রথম ‘ঝুলন্ত’ রেল সেতুর ওপর দিয়ে)

গতকাল ম্যানহাটান আদালতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে শুনানির সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। যদিও ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে গ্রেফতারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা নরকে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি কোনওদিনই ভাবিনি আমেরিকায় এরকম কিছু হতে পারে। আমার একমাত্র অপরাধ, আমি আমেরিকাকে নির্ভীক ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।’ ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, ‘এই ভুয়ো মামলাটি ২০২৪ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য আনা হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন: নতুন বন্দে ভারতের ‘পথের কাঁটা’ নিয়ে ধোঁয়াশা, কবে ছুটবে নতুন ট্রেন?

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় পর্নস্টার স্টর্মির মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে নেভেদায় সেলেব্রিটিদের একটি গলফ প্রতিযোগিতায় ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে একটি শো’তে অংশগ্রহণ করে লস অ্যাঞ্জেলসে বেভারলি হিলসে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বাংলোয় দেখা করেছিলেন স্টর্মি। এরপর ২০১১ সালে ইন টাচ ম্যাগাজিনে স্টর্মি দাবি করেন যে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সেই সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এই বিতর্কের পর ২০১৬ সালে রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সম্পর্কের’ বিষয় নিয়ে মুখ না খোলার জন্য স্টর্মিকে ১৩০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে ট্রাম্পের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে স্টর্মিকে নিজের থেকে অর্থ দিয়েছিলেন। ট্রাম্প ওই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেননি। অবশ্য সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরির সামনে নিজের সাক্ষ্য দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী। এরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় গ্র্যান্ড জুরি। আর গতকাল ঘুষ মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হয়।