Sikkim Avalanche: সিকিমে বরফ দেখতে গিয়ে আর ফেরা হল না শিলিগুড়ির সৌরভের

উৎসাহের সঙ্গে বরফ দেখতে যাওয়াটাই কাল হল শিলিগুড়ির সৌরভ রায়চৌধুরীর। বয়স মাত্র ২৮ বছর। একটি বেসরকারি গাড়ি সংস্থায় আইটি বিভাগে কাজ করতেন। সেলস বিভাগে কর্মী নিয়োগের জন্য অফিসের কাজে সৌরভ সহ আরও তিনজন সিকিমে গিয়েছিলেন সেখানে। সহকর্মী এক বান্ধবীও ছিলেন। বরফ পড়ার খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে গিয়েছিলেন সিকিমের ১৭ মাইল এলাকায়। অনেকেই রাস্তার ধারে বরফ নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বরফের পরিমাণ বেশি ছিল। সেই লোভটা আর সামলাতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু আচমকাই তুষার ধস। উপর থেকে ক্রমাগত নামতে থাকে বরফ। অনেকেই পালাতে পারেননি। তুষারের নীচে চাপা পড়ে যান সৌরভ। তবে তার বাকি সঙ্গীরা কোনওরকমে বেঁচে যান।

শিলিগুড়ির সৌরভের পরিবারে এখন শুধুই শূন্য়তা। বাড়ির অন্যতম উপার্জনক্ষম সন্তানের মৃত্যু। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। তাকেও কেড়ে নিল তুষার ধস।

অপর এক বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সিকিমে। তাঁর নাম প্রীতম মাইতি। তিনি রামগরের বাসিন্দা ছিলেন। কলকাতার মানিকতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। সহকর্মীদের সঙ্গে সিকিমে গিয়েছিলেন তিনি। বেড়াতে। কিন্তু সেখানে তুষারধসে মৃত্যু হল তাঁর।

সিকিমে তুষারধসে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। তার মধ্যে ২ বাঙালি পর্যটক।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তুষার ধসের খবর পাওয়ার পরে আর সময় নষ্ট করেননি তাঁরা। আর কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না তার খোঁজ চলছে। নিরন্তর উদ্ধারকাজ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পর্যটকরা সেই সময় পাহাড়ের ঢালু অংশের নীচের দিকে ছিলেন। আচমকাই উপর থেকে বরফের স্রোত নামতে থাকে। আর তাতেই বরফের নীচে জীবন্ত সমাধি একাধিকজনের। ধেয়ে আসা বরফের স্রোতে চাপা পড়ে যান তারা। পরে সৌরভের দেহ উদ্ধার করেন ভারতীয় সেনাও জওয়ানরা সহ উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা।

সেনার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল ১২টার সময় খবর পেয়েছিলাম। এরপর এখানে ভারতীয় সেনার টিম ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবস্থা খবর খারাপ ছিল। পুরোটার মধ্যে বরফ ছিল। পর্যটকরা খুব আতঙ্কে ছিলেন। প্রায় ৩৫০টি গাড়ি ছিল। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের নীচে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা পাশে রয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি, গত পাঁচদিন ধরে মাঝেমধ্যেই বরফ পড়ছে। রাতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে। তার মধ্যে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। তার মধ্যেই এই বিরর্যয়।

এক পর্যটক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা রাস্তার ধারে বরফ নিয়ে খেলছিলাম। আচমকাই দেখলাম উপর থেকে বরফ নেমে আসছে। কয়েকজন চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা অত্যন্ত সহায়তা করেন।