Modi compares BJP with Lord Hanuman: ‘হনুমানজির মতো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে লড়াই করবে বিজেপি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

‘দুর্নীতি রুখতে হনুমানজির মতো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে এগিয়ে যাবে বিজেপি।’ আজ বিজেপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, আজ হনুমান জয়ন্তী। এই আবহে রামভক্ত হনুমানের সঙ্গে নিজের দলের তুলনা টানলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমরা ভারতকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি ভগবান হনুমানের মতো ‘করতে পারে’ মনোভাবের সংকল্প নিয়েছে। আমাদের দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর।’ (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে নয়া মোড়, ৫০০ সরকারি কর্মীদের দিল্লি যাত্রা ঘুম ছুটবে মমতার?)

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন পড়লে আমরা ভগবান হনুমানের মতো কঠিন হয়ে উঠতে পারি। আমরা সব সময় দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের নীতি নির্ধারণ করেছি। আমরা মা ভারতী, দেশের কোটি কোটি নাগরিক এবং সংবিধানের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করছি।’ এদিকে মোদী আরও বলেন, ‘আমি সেই মহান ব্যক্তিত্বদের কাছে মাথা নত করছি যারা এই দলটিকে গড়ে তুলতে এবং বৃদ্ধি করতে রক্ত ​​দিয়েছেন।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী হনুমানজির তুলনা টেনে এনে বলেন, ‘সমুদ্রের মতো মহাশক্তির মোকাবিলা করতে আগের থেকে অনেক বেশি প্রস্তুত দেশ। হনুমান জি নিজের জন্য কিছুই করেন না, অন্যের জন্য সবকিছু করেন। যখন হনুমানজি রাক্ষসের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তিনি খুব কঠোর হয়েছিলেন। একইভাবে ভারতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিজেপি কঠোর হয়ে ওঠে। এমন কোনও কাজ নেই যা পবনপুত্র করতে পারেন না। বিজেপিও এই একই অনুপ্রেরণা নিয়ে মানুষের সমস্যা মাধানে বদ্ধপরিকর।’

আরও পড়ুন: রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, নতুন অর্থবর্ষে স্বস্তি পাবেন আম জনতা?

এরপর নিজের সরকারের গুণগান গেয়ে মোদী বলেন, ‘ভারত এখন আগের থেকে অনেক বেশি সক্ষম। ‘দেশ বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হলেও ২০১৪-র আগে তার ব্যবহার হয়নি। দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানকে শক্তিশালী করার জন্য বিজেপি কাজ করছে।’ এরপর মোদী দাবি করেন, ‘বিজেপি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি না করে বিজেপি সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে কাজ করছে।’ এরপর বিরোধীদের তোপ দেগে মোদী বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি বড় স্বপ্ন দেখা। এদিকে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সংকীর্ণ।’