Bratya Basu: ‘আদৌ কি বৈধ?’ উপাচার্যদের পাঠানো রাজ্যপালের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে আগাম অনুমোদন নিতে হবে রাজ্যপালের। উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই নির্দেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজভবনকে চিঠি প্রত্যাহারের আবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ওই চিঠির বৈধতা রয়েছে কি না তা দেখতে হবে। আমি উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছি।’ এই চিঠিকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এল। 

নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে রাজভবন থেকে কোনও নির্দেশ বা বার্তা পাঠাতে গেলে শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে পাঠাতে হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। আইন অনুযায়ী তা করা যায় কিনা সেটাই শিক্ষামন্ত্রী সচিবকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি পূর্ববর্তী রাজ্যপালেদের উদাহরণ টেনে বলেন,’আমরা গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জগদীপ ধনখড়কে দেখেছি। তাঁরা যা চান পরিষ্কার করে বলেন। এম কে নারায়ণনের মতো অনেকে আবার কিছুই বলেন না। ভাসা ভাসা বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। যেটা বলার পরিষ্কার করে বলুন।’ অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রী বলতে চেয়েছেন বর্তমান রাজ্যপালের মনে এক রকম মুখে আরেক রকম। এই পদ্ধতি যে সঠিক নয়, তা বোঝাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রোমান দর্শানিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এক রকম অনুভব করে আর এক রকম লেখা অন্যায়। এবং এক রকম অনুভব করে আর এক রকম বলাটা পাপ।’

হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে রাজ্য । তিনি ওই দিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেরিয়েছেন। মানুষের কাছে শান্তি রক্ষার আবেদনও জানিয়েছেন। কেন তাঁকে শহরের পথে হনুমান জয়ন্তীর দিন বেরোতে হল? আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে তিনি কি সন্দিহান ছিলেন? এই প্রশ্ন অস্বস্তিতে ফেলেছে নবান্নকে। তার পর দিনই আবার অস্থায়ী উপচার্যদের চিঠি। নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে।