Kolkata Knight Riders’ Spinners Create All Time IPL Record In Match Vs RCB


কলকাতা: চার বছর পর ইডেনে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েই দুরন্ত জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে (KKR vs RCB) ৮১ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর। ব্যাট হাতে শার্দুল-রিঙ্কুর শতরানের পার্টনারশিপের পর নাইটদের জয় সুনিশ্চিত করেন দলের স্পিনত্রয়ী সুনীল নারাইন (Sunil Narine), সুয়াশ শর্মা (Suyash Sharma), বরুণ চক্রবর্তীরা (Varun Chakravarthy)।

নাইটদের ইতিহাস

২০৫ রান তড়া করতে নেমে আরসিবির ওপেনাররা শুরুটা মন্দ করেননি। বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি ওপেনিংয়ে ৪৪ রান যোগ করেন। কিন্তু সুনীল নারাইন বিরাটকে ফেরানোর পরেই নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় আরসিবি। বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী ১৫ রানে চার উইকেট নেন, সুয়াশ শর্মা ৩০ রানের বিনিময়ে নেন তিন উইকেট, নারাইন দুই ব্যাটারকে আউট করেন। স্পিনারদের বোলিংয়ে এই ম্যাচে নাইটরা জয় তো পেয়েইছে, পাশাপাশি নতুন ইতিহাসও গড়ে ফেলল তারা।

আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দলের স্পিনাররা এক ইনিংসে নয় উইকেট নিলেন। এর আগে এক ইনিংসে তিন তিনবার চেন্নাই সুপার কিংসের স্পিনাররা আট উইকেট নিয়েছিলেন। সেটাই এতদিন পর্যন্ত আইপিএলের এক ইনিংসে স্পিনারদের নেওয়া সর্বাধিক উইকেট ছিল। কিন্তু বরুণ, নারাইনরা সেই রেকর্ড

নিজেদের নামে করে নিলেন।

লড়াকু মানসিকতাকে কুর্নিশ

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এক সময় ৮৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে এক সময় বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur) ও রিঙ্কু সিংহের শতাধিক রানের পার্টনারশিপ ও তারপর স্পিনারদের দাপটে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় অধিনায়ক নীতিশ রানা (Nitish Rana)।

ম্যাচ শেষে নাইট অধিনায়ক বলেন, ‘গত ম্যাচেও আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। সাত উইকেট হারানোর পরেও আমরা লড়াইয়ে ছিলাম। আজও আমাদের ব্যাটিং ধস নামার পরেও গুরবাজ শুরুতে যেমনভাবে খেলে ওকে কুর্নিশ। অপরদিকে, শার্দুল ঠাকুরের ইনিংস সম্পর্কে আলাদা করে আর কী ই বা বলি। লোকজন সকলেই শার্দুলের প্রশংসা করবেন বটে, তবে রিঙ্কুও কিন্তু আমাদের পরিকল্পনামাফিক অপরপ্রান্তে টিকে থেকে ওকে যোগ্য সঙ্গ দেয়।’

বল হাতে নিজের প্রথম ম্যাচেই সুয়াশ শর্মা তিন উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। ম্যাচ শেষে তরুণ সুয়াশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ। ‘আমরা মাঝের ওভারগুলিতে স্পিনারদের দিয়েই বল করাব বলে ঠিক করেছিলাম। সুয়াশ নিজের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করল। আমরা নিজেরাও কিন্তু এখনও ও ঠিক কতটা দক্ষ, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত নই। তবে ওর নিজের ওপর আস্থা আছে। তৃতীয় স্পিনারের প্রয়োজন হলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে ওকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা আমাদের ছিলই।’ বলেন নীতিশ।

আরও পড়ুন: আরসিবির বিরুদ্ধে ইডেনে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর কাকে কৃতজ্ঞতা জানালেন শার্দুল?