বার বার তিন বার, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর সুকন্যাকে আবার তলব করল ED

গরুপাচারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি ‘বীরভূমের বীর’ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে ফের দিল্লি তলব করল ইডি। আগামী সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে ২ বার ইডির তলব এড়িয়েছেন সুকন্যা। ওদিকে আইনজীবীরা বলছেন, সুকন্যা ইডি দফতরে হাজিরা না দিলে অনুব্রতর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ইডি সূত্রে খবর, গত নভেম্বরে সুকন্যাকে তলব করে জেরা করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির হিসাব বাবা জানেন। এর পর ময়ূরাক্ষী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। গত মার্চে আসানসোল জেল থেকে কলকাতা হয়ে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। সেখানে অনুব্রতকে আদালতে পেশের পর ফের অনুব্রতর হিসাহরক্ষক মণীশ কোঠারি ও মেয়ে সুকন্যাকে তলব করে ইডি। গত ১৯ মার্চ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হাসতে হাসতে ঢুকে আর বেরোননি মণীশ কোঠারি। তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। 

ততক্ষণে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে সুকন্যা বোলপুরের বাড়ি থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরদিন সুকন্যার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও মণীশ কোঠারির গ্রেফতারির পর সেই সাহস আর দেখাননি তিনি। তার পর বেশ কয়েকদিন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন সুকন্যা। মার্চের শেষ সপ্তাহে জানা যায় তিনি বোলপুরের বাড়ি ফিরেছেন। এর পর জানা যায়, তৃণমূলের কেউ তাঁর খোঁজ নেয় না দেখে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করছেন তিনি।

ইডি সূত্রে খবর, দিল্লিতে অনুব্রতকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুকন্যাকে জেরা করতে চায় তারা। এমনকী বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে গোয়েন্দাদের। কিন্তু বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। ফলে অনুব্রতকে সুকন্যার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে হলে ইডিকে ফের তাকে হেফাজতে নিতে হবে।

আইনজ্ঞরা বলছেন, সুকন্যা ইডি দফতরে হাজিরা না দিলে অনুব্রতর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমনকী সুকন্যা এবারও হাজিরা এড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে ইডির আইনি পদক্ষেপ করারও সুযোগ রয়েছে। আবার হাজিরা দিলেও যে স্বস্তি মিলবে তার নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে কারাবাসী হতে হতে পারে মেয়েকেও।