মন ভেঙে খান খান? পার্কিং ফি বিতর্কের পরে পরপর কর্মসূচি বাতিল ফিরহাদের

পার্কিং ফি প্রত্যাহার নিয়ে আপনার মতামত কী? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার কি কোনও কথা হয়েছে? কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এনিয়ে শনিবার প্রশ্ন করেছিল সংবাদমাধ্যম। তিনি উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা অনুষ্ঠানস্থল থেকেই বেরিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে না এই আলোচনার ভিত্তিতে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন। কার্যত এভাবেই শনিবার পার্কিং ফি সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেন ফিরহাদ।

বর্ধিত পার্কিং ফি-কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরমহল এখন একেবারেই অন্য ছবি। সব থেকে বড় কথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অবস্থানকে ঘিরে ক্রমেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুক্রবারই পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এরপর শনিবার তাঁকে আর পুরসভায় দেখা যায়নি। তবে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। চেতলায় নিজের পাড়াতেই এই দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে গিয়েই তিনি জনসংযোগ করলেন। কিন্তু স্বভাবতই পার্কিং ফি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি গোটা ঘটনায় অভিমান হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের? নাকি নতুন করে বিতর্ক না বাড়িয়ে তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখার চেষ্টা করছেন?

এদিন দুয়ারে সরকার শিবিরে ফিরহাদ হাকিম পার্কিং ফি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। এদিকে এদিন টক টু মেয়রের কর্মসূচিতেও অংশ নেননি ফিরহাদ হাকিম। প্রথমদিকে শুক্রবার করে টক টু মেয়র কর্মসূচি হত। পরবর্তীতে শুক্রবার কোনও কারণে ব্যস্ত থাকলে শনিবারও এই কর্মসূচি করার নজির রয়েছে। কিন্তু শনিবারও এই কর্মসূচি হয়নি। শুক্রবার ছিল গুড ফ্রাইডের ছুটি। সেক্ষেত্রে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো শনিবার তিনি টক টু মেয়র কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। কিন্তু পার্কিং ফি সংক্রান্ত বিতর্ক যেন সব কিছুকে একেবারে গোলমাল পাকিয়ে দিয়েছে। কার্যত রোজকার রুটিনে ছন্দপতন মেয়রের।

তবে কি টক টু মেয়রে পার্কিং ফি সংক্রান্ত প্রশ্ন আসতে পারে এই আশঙ্কাতেই তিনি এই কর্মসূচিতে অংশ নিলেন না? অস্বস্তি এড়াতেই তিনি এই পথ নিলেন? তবে কি গোটা ঘটনায় মন খারাপ মেয়রের? নানা প্রশ্ন, নানা জল্পনা।

প্রসঙ্গত এর আগে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, বর্ধিত পার্কিং ফি বৃদ্ধির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না। তারপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।