রাজ্যপালের প্রস্তাব মেনে সার্চ কমিটির গঠনে বড় বদল আনছে রাজ্য

উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৈরি করা সার্চ কমিটিতে এবার বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই তিনজন সদস্যের নয়, সার্চ কমিটি করা হবে পাঁচ সদস্যের। সূত্রের খবর, পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইউজিসি মনোনীত প্রতিনিধিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিতে রাখা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, পয়লা বৈশাখের পরই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকেই উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত আইনে সার্চ কমিটি বদলানোর জন্য প্রস্তাব রাখা হবে। শুধু তাই নয়, এই প্রস্তাব অর্ডিন্যান্স আকারে যাতে গৃহীত হয় তার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়া হবে। তার পর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে অর্ডিন্যান্সের অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই সেই অর্ডিন্যান্স কার্যকরী করা হবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটিতে ইউজিসির মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন। রাজ্যপালের মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বা সেনেটর মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা সংসদের মনোনীত প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন। এই পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়েই তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি। আইন দফতর ইতিমধ্যেই এই আইন সংশোধনের জন্য খসড়াকে অনুমোদন দিয়েছে। বতর্মানে তা অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। ১৭ এপ্রিলের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। অর্থ দফতর অনুমোদন দিয়ে দিলেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পেশ করা হবে।

(পড়তে পারেন। অশান্তির জের, নতুন সার্কলে রিষড়া থানা, দায়িত্বে প্রাক্তন ওসি)

সম্প্রতি রাজ্যের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সার্চ কমিটিতে পরিবর্তন আনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। নবান্ন সূত্রে খবর, সার্চ কমিটিতে বদল এনে ইউজিসির প্রতিনিধি রাখতে রাজ্যপালই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে কমিটিতে ইউজিসি-র প্রতিনিধি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। প্রসঙ্গত, আগে সার্চ কমিটিতে ইউজিসি-র প্রতিনিধি রাখা হতো। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই আইন বদল করে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি করে। আবার সেই পুরনো অবস্থাতেই ফিরতে চলেছে উপাচার্য বাছাইয়ের কমিটি।