চলতি সপ্তাহেই বাংলায় পা রাখার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর তাই এখন জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের মধ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অমিত শাহের এই বঙ্গ সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখানে এসে তিনি একটি জনসভা করবেন বলে সূত্রের খবর। আর সেটি নিয়েই বঙ্গ–বিজেপির শীর্ষ নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কারণ সংগঠন একেবারে নড়বড়ে। সেটা জেনে গিয়েছেন শাহ–নড্ডারা। তার উপর কয়েকদিন আগে পৃথকভাবে নয়াদিল্লি গিয়ে দেখা করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই এই বঙ্গ সফর এবং সভা আলাদা মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কবে আসবেন অমিত শাহ? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী শুক্রবার ১৪ এপ্রিল কলকাতায় আসবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে ঠিক কখন কলকাতায় নামবেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও মেলেনি। তবে এবারের বঙ্গ সফরে এসে জনসভা করতে পারেন অমিত শাহ। আর তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলার সিউড়ি। তার পর বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহ বৈঠক করবেন বলেও খবর। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এই বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন তিনি নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন।
কেন জনসভা বীরভূমের মাটিতে? সূত্রের খবর, বিজেপি এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম দখল করতে চায়। এখন এখানের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহান জেলে আছেন। সেটাই বড় সুযোগ। আর তা প্রচার করা হবে। এভাবেই এখানে ভোট পেতে চায় গেরুয়া শিবির। এই উদ্দেশে আগামী ১৪ এপ্রিল কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে এসে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শাহের। বীরভূমের সিউড়িকে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে জনসভা করার জন্য।
আর কী জানা যাচ্ছে? বঙ্গ সফরে এসে বীরভূমে সভাস্থল ঠিক করার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ একদিকে বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন রয়েছেন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া বীরভূমে সংগঠন দেখার জন্য নিজে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বীরভূমে নজরদারির জন্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই বীরভূমকে পাখির চোখ করতে পারে বিজেপি।