China’s Military Drill Around Taiwan: তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার মহড়া চিনের, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের অনুশীলন PLA-র

তাইওয়ানের আশেপাশে আগেই নৌমহড়া শুরু করেছিল চিন। নিজেদের পেশীশক্তি দেখিয়ে ছোট্ট দ্বীপের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে চিন। আর এরই মাঝে অনুশীলনের তৃতীয় দিনে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার মহড়া শুরু করেছে চিন। পাশাপাশি সিমুলেটেড স্ট্রাইকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অনুশীলনও করল পিপলস লিবারেশন আর্মির যুদ্ধবিমান। সোমবার চিনের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একাধিক এইচ-সিক্স যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

স্বশাসিত দ্বীপটির রাষ্ট্রপতি সাই ইং ওয়েন সম্প্রতি দেখা করেছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে। তাইওয়ানের মাটিতে মার্কিন স্পিকারের পা রাখার ঘটনাটিকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি বেজিং। এদিকে চিন যে জলসীমার ওপর নিজেদের অধিকার থাকার দাবি করে, সেখানেও নৌ বহর মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। এরই জবাব হিসেবে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার মহড়া শুরু করল বেজিং। এই মহড়া সত্যিকারের যুদ্ধে পরিণত হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা গোটা বিশ্বে। অবশ্য ওয়াশিংটন বেজিংকে পরিষ্কার বার্তা পাঠিয়েছে যে কোনও ভাবে যদি চিনা সেনা তাইপেই দখল বা সেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তাহলে আমেরিকা পদক্ষেপ করবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত অগস্টেই চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বিগত ২৫ বছরে তাইওয়ানে এটাই ছিল মার্কিন কোনও আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধির সর্বোচ্চ স্তরের সফর। সেবারও তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধ অনুশীলন করেছিল চিন। এরপর ফের এবছর চিনের চোখ রাঙানি শুরু হয়েছে। এই আবহে চিনা বাহিনীর সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে।

সাম্প্রতিককালে চিন বারবার তাইওয়ানে হামলার হুমকি দিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে চিন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবেই মনে করে। তবে গণতন্ত্রের স্বাদ পাওয়া তাইওয়ানের মানুষ চিনকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। তবে তাইওয়ান প্রসঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের ‘হস্তক্ষেপ’কে সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে বেজিং।