Jalpaiguri Rape: দাদুর কীর্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নবম শ্রেণির ছাত্রী, জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার অভিযুক্ত

ভয় দেখিয়ে ৩ বছর ধরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছে প্রতিবেশী দাদু। আর তার জেরে ১৭ বছরের নাবালিকা এখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কীর্তিমান দাদুকে। মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে।

ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাড়ি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ব্লকের শিকারপুর অঞ্চলে। মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাকে তিন বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছে পাশের বাড়ি দাদু। সে প্রতিবেশী হওয়ায় পরিবার চট করে সন্দেহ করেনি। আর মেয়েটিকে ভয় দেখানোয় সে বাড়িতে এই কথা বলতে সাহস পায়নি। কিন্তু যখন নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এই কাজ করে গিয়েছে অভিযুক্ত প্রৌঢ়।

কেমন করে ধর্ষণ করা সম্ভব হল?‌ পরিবার সূত্রে খবর, শিকারপুরে প্রৌঢ়ের লালসার শিকার হয়েছে নাবালিকা মেয়েটি। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে টিভি নেই। এই কারণে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত মেয়েটি। আর টিভি দেখে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করত এলাকারই এই প্রৌঢ়। রোজই ফাঁকা বাড়িতে তার পোশাক থেকে অন্তর্বাস খুলে নিত প্রৌঢ়। তারপর ধর্ষণ করত প্রৌঢ় বলে অভিযোগ। এমনকী মুখ বন্ধ রাখার জন্য নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখায় অভিযুক্ত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ঘটনা দিনের পর দিন চলতে থাকলেও প্রথমে সেটা বোঝা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন নির্যাতিতাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরিবারের সদস্যদের জানান, নবম শ্রেণির ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে বাড়ির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকৃত ঘটনাটি বেরিয়ে আসে। তখন নির্যাতিতার পরিবার থানায অভিযোগ দায়ের করেন। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে। তবে পুলিশ নাম জানাতে চায় প্রৌঢ়ের।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup