২০৪৭-এ দেশের ৯% বিদ্যুৎ আসবে পারমাণবিক শক্তি থেকে, আশা কেন্দ্রের

স্বাধীনতার শতবর্ষ নাগাদ দেশের মোট বিদ্যুতের ৯%-ই আসবে পারমাণবিক শক্তি থেকে। রবিবার ২০৪৭ সালের জন্য এমনই ‘ভিশনে’র কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

মুম্বইয়ের ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম পর্যালোচনা করার সময়ে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এই পরিকল্পনার কথা জানান।

জিতেন্দ্র সিং বলেন, ভারতের বিদ্যুত উত্পাদনের ভাণ্ডারে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব ক্রমেই বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। আগামী ২০৭০ সালের মধ্যেই কেন্দ্র চাইছে, দেশে যেন ‘নেট জিরো’ কার্বন এমিশন থাকে। আর সেই লক্ষ্য অর্জনে পারমাণবিক শক্তি একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সাহায্য নিয়েই প্রচুর পারমাণবিক কেন্দ্র গড়ে তুলবে কেন্দ্র

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশের পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের অঙ্ক ২০ গিগাওয়াটে(GW) নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ভারত যদি এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, তাহলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের পরে. বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী হিসাবে তার স্থান তৈরি হয়ে যাবে।

জিতেন্দ্র সিং বলেন, এই দ্রুত অগ্রগতির কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তিনি রীতিমতো ‘ফ্লিট মোডে’ ১০টি চুল্লি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। PSUগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

২০২১-২২ সালে, দেশের পারমাণবিক শক্তি চুল্লি সব মিলিয়ে প্রায় ৪৭,১১২ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুত উৎপন্ন করেছে। এটি দেশের মোট বিদ্যুতের প্রায় ৩.১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে লোকসভায় এমনটাই জানান জিতেন্দ্র সিং।

বর্তমানে দেশে পারমাণবিক শক্তি উত্পাদন ক্ষমতা ৬,৭৮০ মেগাওয়াট। সেখান থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ২২,৪৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পারমাণবিক শক্তিতে জোর দিতে চাইছে NTPCও। ভারতের বৃহত্তম বিদ্যুত্ উত্পাদকদের লক্ষ্য কয়লা নির্ভর শক্তি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা। এমনিতেই বিশ্বজুড়ে দেশগুলি কয়লাচালিত তাপবিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এশীয় এবং ইউরোপীয় দেশগুলি আরও বেশি করে এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। দেশগুলির উপলব্ধি হয়েছে যে, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানীর জোগানের উপর নির্ভর করে বসে থাকা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ফলে দেশগুলি নিজেদের ‘শক্তির স্বাধীনতা’কে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বিভিন্ন দেশ নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে। চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলির প্রত্যেকেই আরও বেশি করে পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে চাইছে। সেই দৌড়ে সামিল হয়েছে ভারতও। আরও পড়ুন: ভারত কি পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বন্ধ করে দেবে? কেন্দ্রের উত্তর জানলে অবাক হবেন

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup