Jamshedpur Violence: ধর্মীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে জামশেদপুরে ছড়াল হিংসা, ধৃত ৫০, জারি ১৪৪ ধারা

ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে ধর্মীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এই উত্তেজনাপূর্ণ আবহে আপাতত ইন্টানেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলার পড়শি রাজ্যের এই শহরে। পাশাপাশি জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পূর্ব সিংভূম জেলার এসএসপি প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, হিংসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত শহর জুড়ে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে হিংসার ঘটনায় শুধু পাথর ছোড়ার ঘটনাই ঘটেনি, বরং দোকানপাট-যানবাহনে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। হিংসা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয় পথে। (আরও পড়ুন: ১৭ তারিখ শুনানি, তার আগে ডিএ নিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করবে রাজ্য সরকার?)

জানা গিয়েছে, জামশেদপুরের শাস্ত্রী নগরে ধর্মীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এর জেরে রবিবার জামশেদপুরের কদম পুলিশ স্টেশন এলাকায় অশান্তি শুরু হয়। এইসময় বেশ কিছু দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একাধিক গাড়ি ও অটোরিকশা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। বেশ কিছু যানবাহনে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইটবৃষ্টি চলে বলে অভিযোগ। হিংসা সামাল দিতে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী। ঘটনার জেরে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হিংসার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘১৭ শতাংশ বেড়েছে বাঘ’, সুন্দরবনে এখন কটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে?

এদিকে গতকালকের ঘটনায় জখম হন এসএসপি নিজে। তিনি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন জখম হন হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় একটি মন্দিরের কাছে একটি মহাবীরী পতাকার সঙ্গে মাংস সহ একটি পলিথিন বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার প্রতিবাজে এক গোষ্ঠী সভা করছিল। এরপরে অপর এক গোষ্ঠী সভায় আগতদের ওপর চড়াও হয়। এপপরই রাতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিশাল সংখ্যায় ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকে জামশেদপুর শহরে নামানো হয়। জামশেদপুরে শান্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব সিংভূম) বিজয় যাদব। পাশাপাশি, সরকারের অন্য দফতর এবং সংস্থাগুলি শান্তি ফেরাতে লাগাতার কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে গুজব ও ভুয়ো খবরে কান না দেওয়র জন্য আবেদন জানানো হয়।