টাটাদের তাড়াতে ব্যস্ত ছিলেন, নন্দীগ্রামকে কখনও স্বীকৃতি দেননি মমতা: শুভেন্দু

নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে কখনও স্বীকার করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার খেজুরির সভা থেকে এমনই দাবি করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হরিদাস পাল’ বলেও সম্মোধন করেন।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘নন্দীগ্রামে প্রথম সভা হয়েছিল ৩ নভেম্বর ২০০৬। কোথায় ছিলেন আপনি? সিঙুরে তৈরি কারখানা তুলে দেওয়ার জন্য বসেছিলেন। চকোলেট খেয়ে অনশন করার নাটক করছিলেন। এই রাজ্যের যুবক যুবতীদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছেন আপনি। এই রাজ্যের নেত্রী বটে, শিল্প ভাগান গুজরাতে। তৈরি করা কারখানা গুজরাতে ভাগিয়েছেন আপনি। আপনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন হরিদাস পাল? ২১ ডিসেম্বর ২০০৬ নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে সভা হয়। কোথায় ছিলেন আপনি’?

শুভেন্দুর দাবি, ‘আপনার নিজের ছেলে ছিল সিঙুর। আর নন্দীগ্রাম ছিল পিঠের ছেলে। আপনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে স্বীকার করেননি। বড় বড় কথা না? ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলাম। আমার কাছে তখন নিরাপত্তা ছিল না। বিধায়ক ছিলাম দক্ষিণ কাঁথির। আপনার সঙ্গে বুদ্ধবাবু ৪০ জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে রেখেছিল। ৪টে পাইলট কার দিয়ে রেখেছিল। আপনি চণ্ডীপুরে সিপিএম নেতা বলাই সামন্তের অবরোধে আটকে যান। আর যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ফিরে যান কোলাঘাটের গেস্ট হাউজে। পরদিন ১৫ মার্চ হাসপাতাল থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতায় পালিয়ে যান’।

শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘এই জেলায় তমলুক আসনে বিজেপি এগিয়ে আছে বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে। এই জেলার কাঁথিতে বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছে বিজেপি। খেলা আমি দেখাব লোকসভা ভোটে। আরামবাগ নিব, ঘাটাল নিব, তমলুক দেড় লাখে জিতব। কাঁথি তিনের ওপরে যাবে’।