লুকিয়ে নয়, ডায়াবিটিস রোগীরাও মন ভরে খেতে পারেন আম! তবে এই নিময়গুলি মেনে

গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে যেই ফলটি একাই রাজ করে তা হল আম। গরমকালে শেষ পাতে আম থাকলে আর কথাই নেই। শুধু স্বাদবদল নয়, পাশাপাশি আম নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমের মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। ভিটামিন, বিভিন্ন প্রকারের খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই আম। যা শুধু আপনার পেটের জন্য নয়, শরীরের জন্যও সমান ভাবে দরকারি। এর প্রত্যেকটি উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

কিন্তু, অনেকের ধারণা আম খেলে নাকি বাড়তে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ। বিশেষ করে যাদের আছে ডায়াবিটিস, হতে হবে সাবধান! সেই ভয়ে ডায়াবিটিস রোগীরা আম থেকে কয়েক’শ মিটার দূরেই থাকেন। তাহলে কি কোনও উপায় নেই? আছে! আর লুকিয়ে নয় ডায়াবিটিস রোগীরা এবারে মন ভরে খেতে পারবে আম।

পুষ্টিবিদদের মতে, আমে ফাইবারের মাত্রা বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। পরিমিত আম খেলে আর চিন্তা করতে হবে না ডায়াবিটিস রোগীদের। কী ভাবে আম খেলে শর্করার ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না তা জেনে নিন।

ভাত খাওয়ার পর খাবেন না

সকাল বা রাতে শেষ পাতে আম খাওয়া ত্যাগ করুন। ভাতে থাকে শর্করা, আবার আমেও শর্করার মাত্রা বেশি। ফলে খাবারের পরে আম খেলে বাড়তে পারে রক্তে শর্করা।

প্রোটিনের সঙ্গে

শরীরচর্চা যারা করেন, তারা প্রোটিন পাউডার খান। তবে, এই উপায়ে না খেয়ে এই সহজ টোটকা মানতে পারেন। পাকা আমের সঙ্গে কিছু বাদাম, পেস্তা, মিশিয়ে খান। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

টিফিন হিসেবে

খাদ্যরসিকদের মাঝে মাঝেই আম খেতে ইচ্ছে করে। জলখাবার এবং দুপুরে খাওয়ারের মাঝে যদি খিদে পায়, কয়েক টুকরো আম খেতে পারেন। তবে চেটেপুটে নয়, পরিমিত পরিমাণে।

ম্যাঙ্গো শেক

দই, আম মিশিয়ে ম্যাঙ্গো শেক বানিয়ে খান। এভাবে খেলে শর্করা বাড়ে না সহজেই।

ম্যাঙ্গো ড্রিঙ্কস

গরম পড়েছে। রাস্তাঘাটে হাঁটার সময় অনেকেই প্রক্রিয়াজাত জুস কিনে খায়। শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য। এ জাতীয় খাবারে কৃত্রিম চিনির পরিমাণ থাকে বেশি। এগুলি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

আপনি যদি হন ডায়াবিটিসের রোগী, তাহলে বেশি পরিমাণ আম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।