শক্তিগড়ে ৩ বার মুড়ি কিনেছিলেন লতিফের গাড়ির চালক, জানালেন মুড়ি বিক্রেতা

শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের পর ১২ দিন পার হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওদিকে এই ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি করলেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত মুড়ি বিক্রেতা আবু জিয়া শেখ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তিন বারে ৩ ঠোঙা ঝালমুড়ি কেনেন আবদুল লতিফের গাড়ির চালক নুর হোসেন।

জিয়া সাহেব বলেন, ‘ওখানে সাতটার সময় ২টো গাড়ি দাঁড়ায়। দু – তিন মিনিট পরে একটা লোক নেমে বলে মুড়ি দেও। কিছুক্ষণ পরে আবার বলছে, আরও একটা মুড়ি দেও। তখন আমি মনে মনে বলছি, মুড়িটা নিচ্ছে, কিন্তু একবারে বলুক। সেই মুড়িটা নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার বলছে আরেকটা মুড়ি দেও। মুড়িটা নিয়ে পয়সা দিল। আমি মুখ নিচু করে পয়সাটা টিনের মধ্যে ঢোকাচ্ছিল তখন শুনি দুম – দাম শব্দ হচ্ছে। তখন আমি ভয়ে নার্ভাস হয়ে গেছি। আমার থেকে কয়েক হাত দূরে ঘটনাটা ঘটেছে’।

গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের সময় ওই গাড়িতে ছিলেন আরও ৪ জন। ছিলেন গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল লতিফ। তাঁর গাড়ির চালক নুর হোসেন ও রাজু ঝার সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। ঘটনার পর থেকে ফেরার আবদুল লতিফ। ওদিকে তদন্তকারীদের অনুমান রাজু খুনের সঙ্গে এদের কেউ যুক্ত থাকলেও থাকতে পারেন। এদের মধ্যে ব্রতীনের হাত ফুড়ে গুলি বেরিয়ে যায়।

ওদিকে পুলিশকে লিখিত বয়ান দিয়ে নুর হোসেন ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। ইলামবাজার থেকে দুর্গাপুর হয়ে শক্তিগড় পর্যন্ত গোটা রাস্তায় কোথায় কী হয়েছে তা বিস্তারে বয়ানে লিখেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজু ঝায়ের খুনিদের ধরতে একাধিকবার ভিনরাজ্যে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এখনো সাফল্য পাওয়া যায়নি।