রাশিয়ার সঙ্গে হাঙ্গেরির নতুন জ্বালানি চুক্তি

রাশিয়ার সঙ্গে একটি নতুন জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হাঙ্গেরি। মঙ্গলবার (‌১১ এপ্রিল) হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিয়ার্তো চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে রুশ জ্বালানির প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেনে আক্রমণের পর পশ্চিমারা যখন রাশিয়ার জ্বালানি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে তখন এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশ দুটির কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরালো হচ্ছে।

মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম চলতি বছর হাঙ্গেরিকে অতিরিক্ত গ্যাস প্রদান করবে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির বাইরে এই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

পিটার সিয়ার্তো বলেছেন, তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে হাঙ্গেরিতে এই গ্যাস পৌঁছাবে। গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ঘনফুট মিটার ১৫০ ইউরো।

হাঙ্গেরির মন্ত্রীর মস্কো সফর সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিচারে অস্বাভাবিক। এক বছরের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের এক মাত্র কর্মকর্তা হিসেবে তিনি রাশিয়া সফর করলেন।

গত এক দশকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের নিন্দা জানালেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করা থেকে তিনি বিরত থেকেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে হাঙ্গেরি আহ্বান জানিয়েছে, রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও পারমাণবিক জ্বালানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে বুদাপেস্টকে বাদ দেওয়ার জন্য। মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপ ভেটো দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল দেশটি।

মস্কো সফরে রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কোম্পানি রোজাটমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিয়ার্তো।   

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ হাঙ্গেরির নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ পর্যন্ত জ্বালানি সরবরাহ বস্তুগত ইস্যু এবং রাজনৈতিক বা আর্দশিক নয়, পছন্দ করুন বা না করুন, রাশিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা হাঙ্গেরির জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান