শহীদ মিনার বানিয়ে পুরস্কার জেতা শিক্ষার্থীদের বই হস্তান্তর

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রতিযোগিতায় জিতা উপহারের বই হস্তান্তর করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার মুসল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মিলনায়তনে এসব বই হস্তান্তর করা হয়। প্রথম পুরস্কৃর হিসেবে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ১৫ হাজার টাকার বই।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলা ট্রিবিউন ও শুদ্ধপ্রকাশ। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেয় চার শিক্ষার্থীর চারটি টিম। 

বাংলা ট্রিবিউনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি আবদুল কাইউমের কাছ থেকে পুরস্কারের বই গ্রহণ করেন কুয়াকাটার মুসল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাংলা ট্রিবিউনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি, কুয়াকাটার মুসল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

আরও পড়ুন: শহীদ মিনার বানিয়ে ৩০ হাজার টাকার বই জিতে নিলো যারা

 

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সারোয়ার আলম বলেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের মাদ্রাসায় শহীদ মিনার ছিলো না। আমরা কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ বানিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ছবি তুলে আমরা বাংলা ট্রিবিউনের অফিসে পাঠিয়ে বই পুরস্কার জিতেছি। বইগুলো অনেক সুন্দর। আমরা খুবই খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলা ট্রিবিউন ও শুদ্ধপ্রকাশকে।’

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তার বলেন, ‘আমরা থাকি গ্রামে, পাঠ্যবইয়ের বাইরে আমাদের পড়ার বই ছিল না। বাংলা ট্রিবিউন ও শুদ্ধপ্রকাশের উপহার হিসেবে অনেকগুলো বই পেয়েছি। আমরা এসব বই পড়ে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবো।’

শিক্ষার্থীদের কাছে বই হস্তান্তর করা হচ্ছে

কুয়াকাটার মুসল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক সাইদুর রহমান বলেন, ‘ভাষা শহীদদের স্মরণে আমরা অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়েছিলাম। যেখানে কাঠ, কাঠের গুঁড়া ও কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছিলাম। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার বিষয়টি জেনে অস্থায়ী শহীদ মিনারের ছবিটি মেইলে পাঠিয়েছি। আমরা প্রথম স্থান অধিকার করেছি। অনেক বই উপহার দিয়েছে বাংলা ট্রিবিউন ও শুদ্ধপ্রকাশ। এসব বই পড়ে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, অনেক বিষয়ে জানতে পারবে।’

ভাষাসৈনিক এস এম আবুল হোসেন আবু মিয়া বলেন, ‘আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই যারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা দেখেছি রাস্তার পাশে ও বিদ্যালয়ে শিশুরা মাটি, কলাগাছ, কাঠ ও ইট দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, দেখে অনেক ভালো লেগেছে। তারা পুরস্কার পেয়েছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।’